পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বাড়িতে আলমারির ভিতরে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল মদের বোতল। সেখান থেকেও উদ্ধার করা হয় থরে থরে সাজানো প্রচুর সংখ্যক মদের বোতল। এক এক করে সব বোতল বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ।
তদন্তকারী পুলিশ অফিসারদের সূত্রে জানা গিয়েছে,এই লকডাউনের সময় চড়া দামে বিক্রি করার জন্য মদ মজুত করে রাখা হয়েছিল। ফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করে হোম ডেলিভারি করা হত। যা কিনা চড়া দামি বিক্রি করতো ধৃতরা।
advertisement
অভিযানে অংশ নেওয়া এক পুলিশ অফিসার জানান, বাড়ি থেকে মদের হোম ডেলিভারি করা হচ্ছে বলে গোপন সূত্রে খবর আসে। সেইমতো নজরদারি বাড়ানো হয়। এরপরই অভিযানে নামে মেমারি থানার পুলিশ।
লকডাউনে বেশ অসুবিধার সুরাপ্রেমিকরা। লকডাউন ঘোষণা হতেই মদের দোকানের সামনে সুরাপ্রেমীদের লম্বা লাইন নজর কেড়েছিল। অনেক জায়গায় গোলমাল এড়াতে পুলিশকেও একরকম হিমশিম খেতে হয়েছিল। এরপর যত দিন যাচ্ছে ততই বাড়ছে মদের চাহিদা। সেই সুযোগেরই সদ্ব্যবহার করতে চেয়েছিল ধৃতরা। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের অনুমান তেমনটাই। এই কারবার আর কারা কারা জড়িত, কোথা থেকে কিভাবে এতো মদ জোগাড় করেছিল তারা সেসব জানতে ধৃতদের বিস্তারিত জেরা করা হচ্ছে। জেলা জুড়ে ধারাবাহিকভাবে অভিযান চলছে বলে জানা গেছে।
Saradindu Ghosh