জেলাশাসক জানিয়েছেন, সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী ক্ষতিগ্রস্থ পঞ্চায়েত এলাকায় ক্যাম্প করা হবে। সেখানে ইয়াসে ক্ষতিগ্রস্থদের কাছ থেকে আবেদনপত্র জমা নেওয়া হবে। আবেদনপত্র পরীক্ষার পর তা সরেজমিনে খতিয়ে দেখে সরাসরি ক্ষতিগ্রস্থদের অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানো হবে। দুই মেদিনীপুর বা দুই চব্বিশ পরগনার মতো পূর্ব বর্ধমান জেলায় তেমন ভয়াবহ হয়ে দেখা দেয়নি ঘূর্ণিঝড় ইয়াস। তবে ভারি বর্ষণ ও ঝোড়ো হাওয়ায় বেশকিছু বাড়ি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বহু জমির ফসল নষ্ট হয়ে গিয়েছে। তৎপরতার সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্তদের কাছে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়া এখন অন্যতম চ্যালেঞ্জ প্রশাসনের কাছে। সেই কাজ যথাযথভাবে সম্পন্ন করার রূপরেখা চূড়ান্ত হয় এই বৈঠকে।
advertisement
জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানতে ব্লকগুলি থেকে বিস্তারিত রিপোর্ট চেয়ে পাঠানো হয়েছিল। ইতিমধ্যেই বেশিরভাগ জায়গা থেকে সেই তথ্য এসে গিয়েছে। এরপর এলাকায় গিয়ে শিবির করে ক্ষতিগ্রস্তদের কাছ থেকে আবেদনপত্র সংগ্রহ করা হবে। সংশ্লিষ্ট দফতরের আধিকারিকরা সেই আবেদন খতিয়ে দেখে চূড়ান্ত রিপোর্ট তৈরি করবেন। এরপরই ক্ষতিগ্রস্তদের অ্যাকাউন্টে ক্ষতিপূরণের টাকা সরাসরি পাঠিয়ে দেওয়া হবে।
মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ জানান, ইয়াশ পরবর্তী বর্ষণে জেলায় বেশকিছু বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেইসব বাসিন্দারা যাতে দ্রুত দুয়ারে ত্রাণ পরিষেবা পান তার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। তিনি জানান, এই জেলায় ঝড়ের পাশাপাশি অতি ভারি বর্ষণের সতর্কবার্তা ছিল। সেই মতো প্রশাসনিক স্তরে আগাম সর্তকতা নেওয়া হয়েছিল। সাড়ে ন'হাজার বাসিন্দাদের জন্য ত্রাণ শিবিরে নিয়ে যাওয়া হয়। কোভিড বিধি মেনে তাদের রাখার পাশাপাশি জল ও খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছিল।
Saradindu Ghosh