সম্পত্তি নিয়ে বিবাদের জেরে সৎ ছেলে এই খুনের চেষ্টা চালায় বলে প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছে পুলিশ। অভিযুক্তকে আটক করেছে পুলিশ। সে-ও অগ্নিদগ্ধ হয়। তাকেও বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সম্পত্তির জন্য সে প্রায়ই বাবা কৃষ্ণপদ মিস্ত্রিকে হুমকি দিত বলে এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছে।
আহতরা হলেন কৃষ্ণপদ মিস্ত্রি (৫০), তাদের দুই সন্তান বাদল মিস্ত্রি (১৩) ও কন্যা সুমিত্রা মিস্ত্রি (১০) । কৃষ্ণপদ ও বাদলের অবস্থা আশঙ্কাজনক। সুমিত্রাকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়।
advertisement
পরিবার ও স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে, কৃষ্ণপদ মিস্ত্রি তাঁর পরিবারকে নিয়ে ঘরে ঘুমোচ্ছিলেন। এর পর ভোর রাতে কৃষ্ণপদ মিস্ত্রির প্রথম পক্ষের ছেলে বাউল মিস্ত্রি ওরফে বাবুল সেই সময় বাড়িতে পেট্রোল দিয়ে আগুন ধরিয়ে পালায়। এই ঘটনায় সেও অগ্নিগ্ধ হয় বলে জানা যায়।
জানা গিয়েছে, বাইরে তালা দিয়ে রাখার ফলে এরা কেউ বাড়ি থেকে বের হতে পারেনি। গ্রামের লোকজন জানতে পেরে পুলিশকে খবর দেয়। ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছে স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাদের উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠায় চিকিৎসার জন্য।
আরও পড়ুন- গোপনে দেশরাজের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল ঈশিতার? কৃষ্ণনগর কাণ্ডে পুলিশের মনেই প্রশ্ন
কৃষ্ণপদ মিস্ত্রির স্ত্রী সন্ধ্যা মিস্ত্রির মৃত্যু হয়। কৃষ্ণপদ ও ছেলে বাদলের অবস্হা আশংকাজনক। পারিবারিক অশান্তির কারণেই প্রথম পক্ষের ছেলে বাবুল মিস্ত্রি এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। সে পাশের পাড়ায় আলাদা ঘরে থাকত। এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগের ভিত্তিতে বুধবার ভোরে পুলিশ তার বাড়িতে যায়। তাকে কম্বল ঢেকে শুয়ে থাকা অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। কম্বল সরাতেই তার পেটে আগুনে পোড়া অংশ দেখা যায়। এর পর পুলিশ তাকে আটক করে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।