অবশেষে আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে হল দম্পতিকে। বর্ধমানের বড়শুলের এই ঘটনার পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে এমনই চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট উঠে এসেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বারবার কিস্তির টাকা আদায় করতে আসছিল ঋণদানকারী সংস্থার কর্মীরা। টাকা ফেরতের জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছিল মহিলার ওপর।
টাকা না পেয়ে নানাভাবে হেনস্থাও করে তারা। মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়ে শেষ পর্যন্ত আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন ওই মহিলা ও তাঁর স্বামী। নিজের বাড়ি থেকে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় ওই দম্পতির।
advertisement
ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের শক্তিগড় থানার বড়শুলের গোপালপুরে।পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদের নাম হেমন্ত মালিক (৬৫) ও রেখা মালিক (৫৫)। পুলিশ অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
জানা গিয়েছে, ওই দম্পতির দুই ছেলে। বড় ছেলে মনেশ ও ছোট ছেলে রমেশ। মনেশ জানান, তাঁর ভাই বেসরকরি ঋণদান সংস্থা থেকে লক্ষাধিক টাকা ঋণ নিয়েছিলেন। তার পর থেকে ভাই অন্য কোথাও চলে গিয়েছে।
আরও পড়ুন- ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের বিশাল শ্বেতপাথরের মন্দির কাশীনগরে! ভক্তদের ভিড়! রইল ভিডিও
তিনি জানান, ওই ঋণ মায়ের নামে নেওয়া হয়েছিল। ঋণদাণ সংস্থার লোকজন বাড়িতে এসে ঋণ শোধ করার জন্য নানাভাবে চাপ দিচ্ছিল। বাড়ি বিক্রি করে ঋণের টাকা শোধ করার কথাও বলেছিল তারা। ওদের অত্যাচারে মা মামার বাড়ি চলে গিয়েছিলেন।
মনেশের মামা জামালপুর থানার জামদহ গ্রামের বাসিন্দা রামু দোলুই। তিনি বলেন, “ঋণদান সংস্থার লোকজন আমাদের বাড়িতেও হানা দিয়েছিল। রেখাকে বাড়ি থেকে টেনে বের করে আনে টাকা শোধ করার জন্য। দুদিন আগেই আমাদের বাড়ি থেকে গোপালপুরের বাড়িতে এসেছিল ওরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ঋণদান সংস্থার লোকজন গত দুদিন ধরে তাগাদায় এসেছিল। টাকা দিতে না পেরে ওই দম্পতি ঘরের ভেতরে লুকিয়ে ছিলেন দিনভর। খাওয়াদাওয়াও করেননি। সন্ধ্যার পর বাইরে বেরোলেও আর খাওয়াদাওয়া করেননি। পরদিন সকালে ঘর থেকে দুজনের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়।