বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওপর পূর্ব বর্ধমান জেলার বাসিন্দাদের পাশাপাশি আশপাশের জেলার বাসিন্দারা অনেক বেশি নির্ভরশীল। এই মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্বাভাবিক সময়ে হাজারেরও বেশি রোগী আউটডোরের চিকিৎসার পরিষেবা গ্রহণ করেন। পূর্ব বর্ধমান জেলার বিভিন্ন এলাকার পাশাপাশি পশ্চিম বর্ধমান, হুগলির আরামবাগ মহকুমা ও তার আশপাশের এলাকা, বাঁকুড়া, বীরভূম, পুরুলিয়া,মুর্শিদাবাদ, নদিয়া থেকেও অনেকে চিকিৎসা করাতে আসেন। রোগী আসে ঝাড়খন্ড, বিহার থেকেও।
advertisement
করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় আপাতত লোকাল ট্রেন চলাচল বন্ধ। পরিষেবা দিতে গিয়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে পড়ছেন চিকিৎসক নার্সরাও। ফলে হাসপাতালে অন্যান্য পরিষেবা চালু রাখা কঠিন হয়ে দাঁড়াচ্ছে। তারমধ্যে ওপর আউটডোরে চিকিৎসা পরিষেবা নিতে আসা রোগী ও তাদের পরিজনদের ভিড়ের কারণে করোনায় আক্রান্ত হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে রোগীদের সুবিধার কথা ভেবেই এই ভিডিও কলের মাধ্যমে আউটডোর চিকিৎসা পরিষেবা চালু করেছে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
এখানে ভিডিও কলের মাধ্যমে সরাসরি ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলতে পারছেন রোগীরা। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের এক চিকিৎসক এ প্রসঙ্গে বলেন, সব সময় শুধু মাত্র ফোনে শুনে চিকিৎসা করা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। ভিডিও কলের মাধ্যমে রোগীর সমস্যা বা শারীরিক অবস্থার অগ্রগতি বা অবনতি সরাসরি খতিয়ে দেখা যাচ্ছে। সরাসরি তা ভিডিও কলের মাধ্যমে দেখে নিয়ে পরবর্তী পরামর্শ দেওয়া সহজ হয়ে যাচ্ছে। রোগী দেখার পর অনলাইনেই প্রেসক্রিপশন দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তা ডাউনলোড করে নিতে পারছেন রোগী বা তার আত্মীয় পরিজনরা। সেই প্রেসক্রিপশন পরবর্তী সময়ে চিকিৎসার সময় কাজে লাগবে।
জেলার গ্রামীণ এলাকা বা দূরবর্তী এলাকার বাসিন্দারা বলছেন, লোকাল ট্রেন চলাচল বন্ধ। অনেক বাস রুট থেকে উঠে গিয়েছে। যে ক'টি বাস চলছে তাতে ব্যাপক ভিড় হচ্ছে। সেই ভিড় বাসে যাওয়া বা জনবহুল বর্ধমান শহরে সশরীরে যেতে হলে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। গাড়ি ভাড়া করে যাওয়ার সামর্থ্যও অনেকেরই নেই। ভিডিও কলের মাধ্যমে চিকিৎসা পরিষেবা এই সময়ে বিশেষ কার্যকর হয়ে উঠেছে।
Saradindu Ghosh