জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, নতুন করে আক্রান্ত ৭২২ জন এরমধ্যে ৭১৩ জন উপসর্গহীন। বাকি ন’ জনের মধ্যে উপসর্গ মিলেছে। জেলা স্বাস্থ্য দফতরের এক আধিকারিক জানান,এ দিন পর্যন্ত আক্রান্ত ২৬ হাজার ৩১৮ জনের মধ্যে শুধুমাত্র উপসর্গ থাকা অবস্থায় ২১৪১ জন পজিটিভ আক্রান্তের হদিশ মিলেছে। বাকি ২৪ হাজার ১৭৭ জন উপসর্গ হীন অবস্থায় করোনা পজিটিভ চিহ্নিত হন।
advertisement
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নমুনা পরীক্ষা যথাসম্ভব বাড়িয়ে করোনা আক্রান্তদের চিহ্নিত করে তাদের আলাদা করা জরুরি। নচেৎ উপসর্গহীন আক্রান্তরা নিজেদের অজান্তেই দ্রুত অনেকের দেহে সংক্রমণ ছড়িয়ে দিচ্ছেন। একমাত্র পরীক্ষা বাড়ানোর মধ্য দিয়েই করোনা আক্রান্তদের চিহ্নিত করা ও চিকিৎসার মাধ্যমে তাদের সুস্থ করে তোলা সম্ভব।
গত চব্বিশ ঘণ্টায় আক্রান্ত ৭২২ জনের মধ্যে ২১৭ জনের রাজ্যের ব্যাপকভাবে করোনা সংক্রমিত জেলাগুলিতে যাওয়ার হিস্ট্রি রয়েছে। বাকি ৪৩৫ জন সম্প্রতি অন্য রাজ্যে গিয়েছিলেন।গত চব্বিশ ঘণ্টায় এই জেলায় এক হাজার ৬৩৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছিল। তার মধ্যেই ৭২২ জনের রিপোর্ট করোনা পজিটিভ হয়েছে। এরমধ্যে ১৪৭১ জনের অ্যান্টিজেন টেস্ট হয়েছিল। বাকি ১৬৪ জন এর আর টি পি সি আর যন্ত্রে নমুনা পরীক্ষা হয়।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলছেন, নমুনা পরীক্ষা যত বাড়ানো সম্ভব হবে তত দ্রুত করোনা আক্রান্তদের চিহ্নিত করা যাবে। অনেকে উপসর্গ থাকা সত্ত্বেও পরিবহণ সমস্যা বা দূরত্বের কারণে পরীক্ষা করাতে যাচ্ছেন না। এর ফলে একদিকে যেমন সংক্রমণ বাড়ছে ঠিক তেমনি আক্রান্তদের শারীরিক অবস্থার ক্রমশ জটিল হচ্ছে। সাত আট দিন পর রোগ বাড়াবাড়ি হলে তখন চিকিৎসকের কাছে যাচ্ছেন তাঁরা। কিন্তু তখন অধিকাংশ ক্ষেত্রে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া চিকিৎসকদের পক্ষে কঠিন হয়ে দাঁড়াচ্ছে। তাই তাঁদের পরামর্শ, করোনার উপসর্গ দেখা দিলে দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।