এদিন প্রথমে কমিশনের প্রতিনিধি দল পূর্ব বর্ধমান জেলার জামালপুরের নবগ্রামে যান। নবগ্রামে ভোট পরবর্তী হিংসায় কয়েকদিন আগে এক জন বিজেপি সমর্থক ও দু’জন তৃণমূল কর্মী খুন হন। এদিন কমিশনের প্রতিনিধি দল প্রথমে মৃত বিজেপি সমর্থক কাকলি ক্ষেত্রপালের বাড়িতে যান। বাড়িতে সদস্যদের দেখা না পেয়ে বর্ধমানে একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে যান প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। সেখানে আহত হয়ে ভর্তি আছেন কাকলি ক্ষেত্রপালের স্বামী।কাকলির স্বামীর কাছে সেদিনের ঘটনার কথা শোনেন সদস্যরা।
advertisement
এরপরই তাঁরা যান বর্ধমানের মিলিক পাড়ায়। কয়েকদিন আগে সেখানে বেশ কয়েকটি দোকান ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে।ভাঙচুর হওয়া দোকানগুলির মালিক ও তাদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন কমিশনের প্রতিনিধিরা। কমিশনের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে ছিলেন পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক প্রিয়াঙ্কা সিংলা ও পুলিশ সুপার কামনাশিস সেন।
কমিশনের প্রতিনিধি দলের সফর নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তাদের বক্তব্য, যেকোনও মৃত্যুই দুর্ভাগ্যজনক। কিন্তু কমিশনের প্রতিনিধিরা পক্ষপাতিত্ব করছেন।
জামালপুরের ঘটনায় তিনজন খুন হয়েছেন। অথচ কমিশন তফশিলি জাতিভুক্ত কাকলি ক্ষেত্রপালের বাড়িতে গেলেন, তাঁর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বললেন। অথচ সেখানে সেদিনই খুন হওয়া তফশিলি জাতিভুক্ত তৃণমূল কর্মী বিভাস বাগের বাড়ি গেলেন না।
যদিও কমিশেনর চেয়ারম্যান পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, দলিত শ্রেনির মানুষের অত্যাচারিত হলেই তাঁদের পাশে দাড়ানো এবং দোষীরা যাতে শাস্তি পায় সেই দিকটা দেখা তাঁদের কাজ।সেখানে কোনও রাজনৈতিক রঙ দেখা হয় না।
শরদিন্দু ঘোষ