জেলা জুড়ে বাসের স্বাস্থ্য পরীক্ষার পাশাপাশি পরিবহণ দফতরের নিয়ম মেনে বাসগুলি যাত্রী পরিবহণ করছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জেলার সদর শহর বর্ধমান-সহ কাটোয়া কালনা মহকুমাতেও চলছে অভিযান। বাসগুলির স্পিডলিমিট মিটার লাগানো আছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।পাশাপাশি ফিটনেস সার্টিফিকেট, রিসোল টায়ার, হেডলাইট, ব্রেকিং লাইট ঠিকঠাক আছে কিনা তাও দেখা হচ্ছে। নিয়ম না মানায় বেশ কিছু বাসকে আটক করার পাশাপাশি বহু বাসকে জরিমানাও করা হয়েছে বলে পরিবহণ দফতর সূত্রে খবর।
advertisement
আরও পড়ুন- আইন মেনেই উপাচার্যদের বৈঠকে ডাক নয়া রাজ্যপালের, নজরে রাজভবনের বৈঠক
এ দিন জেলা জুড়ে অভিযানে নামে পুলিশ ও পরিবহণ দফতর। বাসের ছাদে ওঠার সিঁড়ি খোলা, জানালার পাশ দিয়ে ছাদে ওঠার মই খোলানো হয়। বাসের যন্ত্রাংশ, ছাদে যাত্রীদের বসার ব্যবস্থা রয়েছে কি না, সে সবও খতিয়ে দেখে পুলিশ। যাত্রীরা বলছেন, দুর্ঘটনার পর শুধু নয়, ধারাবাহিক ভাবে এই ধরণের অভিযান হওয়া প্রয়োজন। নচেৎ যথেচ্ছ যাত্রী তোলা, মেয়াদ উত্তীর্ণ যন্ত্রাংশ নিয়েই বাস চলাচল করতেই থাকবে। অভিযোগ, গুরুত্বপূর্ণ রুটগুলিতে এমন কিছু বাস চলে, যেগুলি প্রায় নড়বড়ে। বহু তাপ্পি দেওয়া টায়ার, ভাঙা কাঠামো নিয়েই অতিরিক্ত যাত্রী তোলা হয় বলে অভিযোগ। প্রশাসন কড়া না হওয়ায় যাত্রীদের প্রাণের ঝুঁকি নিয়েই চলতে হয় বলে দাবি অনেকের।
জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, কোনও ভাবেই বাসের ছাদে যাত্রী তোলা যাবে না। বাসের ফিটনেস শংসাপত্র ও চালকের লাইসেন্স সব সময়ে কাছে রাখতে হবে। ক্ষমতার উপরে যাত্রী তুললেই আইনি পদক্ষেপ করা হবে। লাগাতার নজরদারি চালিয়ে যাব। কাটোয়ার ঘটনায় পরিবহণ দফতরের প্রযুক্তি বিভাগের আধিকারিকরা প্রাথমিক তদন্তের পর জানিয়েছেন, স্টিয়ারিংয়ের কাছে থাকা ‘টাইরড’ ভেঙে যাওয়ায় চালক গাড়ির নিয়ন্ত্রণ হারান। গতি নিয়ন্ত্রণের জন্য থাকা যন্ত্রটিও কাজ করেনি বলে তাঁদের অনুমান।