রাইস মিলটি পরিত্যক্ত হওয়ায় চারিদিকে জঙ্গলে ঢাকা পড়ে গেছে। সেই রাইস মিলের ভেতরে একটি চৌবাচ্চার মধ্যে রাখা আছে জারটি। স্বাধীনতা দিবসের আগে বোমা লুকিয়ে রাখার খবর চাউর হতেই শহর জুড়ে বাসিন্দাদের মধ্যে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। কে বা কারা কেন বোমা রাখল সেই প্রশ্নের উত্তর পেতে উদগ্রীব সকলেই।
খাগড়াগড় থেকে মেরেকেটে ২ কিমি দূরে বালিঘাট। বর্ধমান শহরের বাসিন্দাদের কাছে খাগড়াগড় বিস্ফোরণ স্মৃতি এখনো টাটকা। খাগড়াগড়ে ডেরা বেঁধে মারাত্মক সব অস্ত্র তৈরি করেছিল জেএমবি জঙ্গিরা। তার আশপাশ এলাকাতেও জঙ্গি ডেরার হদিস মিলেছে। সেখান থেকেও প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়। ঘটনার তদন্তে নামে এনআইএ। তাই এই শহরে বোমা উদ্ধারের ঘটনায় বাসিন্দাদের অনেকের কথাতেই বর্ধমান বিস্ফোরণের প্রসঙ্গ উঠে আসছে।
advertisement
স্থানীয়দের অনুমান,জারের মধ্যে রাখা আছে বোমা।বোমা থাকার খবরে আতঙ্কিত এলাকাবাসী।স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,গতকাল বিকেলে এক যুবক জঙ্গলে মধু সংগ্রহ করতে গিয়ে জারটিকে দেখতে পায়।জঙ্গল থেকে বেড়িয়ে এসে যুবক স্থানীয়দের জানালে, স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেওয়া হয়।ঘটনাস্থলে আসে বর্ধমান থানার পুলিশ।বোম ডিসপোসাল স্কোয়াডকে খবর দেওয়া হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে,বোম ডিসপোসাল স্কোয়াড জানিয়েছে জারের ভিতরে বোমা রাখা আছে।বোমা গুলি উদ্ধার করে ডিসপোস করবে বোম ডিসপোসাল স্কোয়াড।কি কারনে এবং কারা বোমা গুলি রেখেছে তদন্ত করে দেখছে বর্ধমান থানার পুলিশ। স্বাধীনতা দিবসের আগে এই বোমা উদ্ধারের ঘটনাকে বাড়তি গুরুত্ব দিয়ে দেখছে পুলিশ।