নির্বাচন-পরবর্তী হিংসার কারণে তাদের বহু কর্মী-সমর্থক গ্রামছাড়া হয়ে রয়েছে বলে প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানিয়েছিল বিজেপি নেতৃত্ব। সম্প্রতি প্রশাসনিক আধিকারিকদের উপস্থিতিতে ভাতার থানার পুলিশ ও বিধায়ক মানগোবিন্দ অধিকারী এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন। সেই বৈঠকেই ঘরছাড়াদের গ্রামে ফেরানোর ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন নবনির্বাচিত বিধায়ক মান গোবিন্দ অধিকারী। এদিনের উদ্যোগ তারই ফলশ্রুতি বলে মানগোবিন্দবাবুর অনুগামীরা জানিয়েছেন।
advertisement
জানা গিয়েছে, তাদের ওপর আক্রমণ নেমে আসতে পারে এই আশঙ্কাতে ফল প্রকাশের পরপরই অনেক বিজেপি কর্মী সমর্থক এলাকা ছেড়ে ছিলেন। অনেকে আত্মীয় বাড়িতে কেউ কেউ দূরবর্তী এলাকায় দলের কার্যালয়ে রাত কাটাচ্ছিলেন। নির্ঝঞ্ঝাটে বাড়ি ফিরতে পেরে খুশি তাদের অনেকেই স্বস্তিতে তাদের পরিবারের সদস্যরাও।
বিধায়ক মানগোবিন্দ অধিকারী বলেন, ভোট মিটে গিয়েছে। এলাকার বাসিন্দারা শান্তিতে জীবনযাপন করুক এটাই চাইবো। তৃণমূল কংগ্রেসের জন্যে কেউ ঘর ছাড়া হয়ে থাকলে তাদের শান্তিপূর্ণভাবে বসবাসের ব্যবস্থা করব বলে কথা দিয়েছিলাম।ভাতারের এরুয়ার গ্রাম পঞ্চায়েতের নবাবনগর গ্রামে বেশকিছু বাসিন্দা গ্রামছাড়া রয়েছে বলে খবর পাই।সেই সমস্ত পরিবারের লোকজনদের সঙ্গে কথা বলে গ্রামছাড়াদের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করে ফিরে আসতে বলি। কেউ তাদের কোন রকম সমস্যা করবে না বলে আশ্বাস দিই। সেইমতো এদিন সবাইকে ঘরে ফিরিয়ে দেওয়া হল।
বিধায়কের উদ্যোগে খুশি গ্রামের সকল সম্প্রদায়ের মানুষ।গ্রামের বাসিন্দা অরূপ বিশ্বাস জানান, ২ মে ভোটের ফল বেরোনোর পর আমি বাড়ি থেকে ভয়ে পালিয়েছিলাম। ভেবেছিলাম হয়তো আমাদের ওপর অত্যাচার হবে। কিন্তু বাড়িঘরের ওপর কোনও অত্যাচার হয়নি। আমাকে গতকাল ফোন করেছিলেন বিধায়ক।খবর পাওয়ার পর আমি গ্রামে ফিরলাম। বিধায়ককে এই উদ্যোগের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।বিধায়ক মান গোবিন্দ অধিকারী জানান, স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনও গ্রামছাড়াদের বাড়ি ফেরাতে তৎপর হয়েছিল। আমি সেই চেষ্টাই করছি।
Saradindu Ghosh