ঘটনাটি ঘটে দিন কয়েক আগে। কুলটির সাঁকতোড়িয়ার হাতিনল এলাকায় একটি ফুটবল টুর্নামেন্টে উপস্থিত হন কুলটির বিজেপি বিধায়ক অজয় পোদ্দার। তিনি যখন খেলোয়াড়দের সঙ্গে পরিচয় পর্ব সারছেন, তখনই হঠাৎ মাইকে বাজতে শুরু করে জাতীয় সঙ্গীত। এতেই রীতিমতো বিরক্ত প্রকাশ করেন বিধায়ক। বিধায়ক অজয় পোদ্দারের সামনেই এরপর হুইসেল বাজিয়ে জাতীয় সঙ্গীত থামানোর 'নির্দেশ' দেন ফুটবল টুর্নামেন্টের জনৈক রেফারি।
advertisement
এর ফলে কিছুক্ষণ পরিচয়পর্ব বন্ধ থাকার পর ফের খেলোয়াড়দের সঙ্গে পরিচয় পর্ব শুরু করেন বিধায়ক। এই ভিডিওটি ভাইরাল হতেই রাজনৈতিক মহলে বিতর্ক শুরু হয়েছে। বিতর্কিত ভিডিওটি কুলটির বিধায়ক অজয় পোদ্দার নিজের ফেসবুকেও পোস্ট করেন। কুলটির শাসক দলের নেতারা ঘটনার তীব্র নিন্দায় সরব। জেলা তৃণমূল নেতৃত্বরা বলছেন, 'বিজেপির যা শিক্ষা তাতে ওদের কাছে এটাই স্বাভাবিক, ওদের সম্পর্কে কিছু বলতেই রুচিতে বাধে। আমরা মনে করি জাতীয় সঙ্গীতকে অবমাননা করেছেন বিধায়ক'।
যদিও কুলটির বিধায়ক, যাকে কেন্দ্র করে বিতর্ক ছড়িয়েছে সেই অজয় পোদ্দারের দাবি, 'এটা সংগঠকদের ভুল। মাঝপথে জাতীয় সঙ্গীত বাজিয়ে দিয়েছিল। খেলোয়াড়দের সঙ্গে পরিচয় পর্বের সময় জাতীয় সঙ্গীত বাজানো ঠিক নয়। তাই বন্ধ করা হয়েছিল। পরে আবার আমরা নিয়ম-নীতি মেনে সম্মানের সঙ্গে সবাই মিলে জাতীয় সঙ্গীত গেয়েছি'।
কিন্তু অনেকেরই প্রশ্ন, যেভাবে হুইসেল বাজিয়ে বিধায়কের সামনে মাঝপথে জাতীয় সংগীত বন্ধ করে দেওয়া হল তা কি জাতীয় সংগীতকে অবমাননা করা নয়? বিধায়কের সামনেই মুখোমুখি দাঁড়িয়ে রেফারি যখন হুইসেল বাজিয়ে জাতীয় সংগীত বন্ধ করলেন তখন কেন তার প্রতিবাদ করলেন না বিধায়ক অজয় পোদ্দার? এই প্রশ্নও তুলছেন অনেকে। যখন জাতীয় সঙ্গীত বাজছে তখন সবার থেমে যাওয়া উচিত ছিল। যদি ভুলবশতই জাতীয় সংগীত বাজানো হয়ে থাকে তখন ফুটবল খেলোয়াড়দের সঙ্গে বিধায়কের পরিচয় পর্ব সাময়িক বন্ধ রাখাই উচিত ছিল। কোনও কিছুর জন্য জাতীয় সঙ্গীতকে হুইসেল বাজিয়ে মাঝপথে থামানো উচিত হয়নি বলেও একাংশের বক্তব্য। এটা জাতীয় সঙ্গীতকে অবমাননা করা হয়েছে বলে মত তাঁদের।