TRENDING:

Bardhaman: নাম ধরে ডাকলেই বাঘ নাড়ছে লেজ, ভাল্লুকের আদর খাওয়ার বায়না, কোথায় বলুন তো? পড়ুন

Last Updated:

পূর্ব বর্ধমান জেলায় 'রমনাবাগান জুলজিক্যাল পার্ক'-এ রয়েছে বাঘ-ভাল্লুক-সহ বহু প্রজাতির প্রাণী। তাদের সঙ্গেই বন্ধুত্ব গড়ে উঠেছে সেখানকার কর্মী-সহ আধিকারিকদের

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
পূর্ব বর্ধমান: ভাল্লুকের বন্ধু সুশান্ত, কুমিরের বন্ধু রবীন্দ্রনাথ! ময়ূর, এমু পাখি, টিয়া-দেরও বিশেষ বন্ধু রয়েছে! রয়েছে বাঘের বন্ধু-ও!
advertisement

প্রাণীদের সঙ্গে মানুষের বন্ধুত্ব হয় এটা ঠিক কথা। কিন্তু তাই বলে বাঘ, ভাল্লুকের সঙ্গে বন্ধুত্বের সম্পর্ক! শুনতে অবাক লাগলেও,এটাই সত্যি। পূর্ব বর্ধমান জেলায় ‘রমনাবাগান জুলজিক্যাল পার্ক’-এ রয়েছে বাঘ-ভাল্লুক-সহ বহু প্রজাতির প্রাণী। তাদের সঙ্গেই বন্ধুত্ব গড়ে উঠেছে সেখানকার কর্মী-সহ আধিকারিকদের। বর্তমানে ‘রমনাবাগান জুলজিক্যাল পার্ক’-এ রহমত মিদ্যা, শেখ লালবাবু, শ্যামল কুমার ধারা, সৌরভ বাগদি, জয়দেব বাগদি, দীপঙ্কর হাজরা, শেখ রুমজান, রবীন্দ্রনাথ পাল সহ মোট ২৮ জন কর্মচারী রয়েছেন। শুনতে অবাক লাগবে, তাঁদের সঙ্গে বন্য প্রাণীদের  সুন্দর বন্ধুত্বের সম্পর্ক।

advertisement

জু-সুপারভাইজার তরুণ কান্তি বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “দীর্ঘদিন পশু-পাখিদের সঙ্গে থাকতে থাকতে একটা সক্ষতা তৈরি হয়েছে। ওরা জানে কারা ওদের ভালোবাসে, সেবা করে। ওদেরকে ডাকলে ওরাও সাড়া দেয়। আবার কখনও আনমনে বেরিয়ে গেলে ওরা নিজেরাই সাড়া দিয়ে ডাকে। এখানকার কর্মচারীদের সঙ্গে বন্য প্রাণীদর দারুণ বন্ধুত্ব।”

রমনাবাগানের সব প্রাণীদের নাম রাখা হয়েছে। কুমিরের নাম ‘রাজা’, ভাল্লুকের নাম ‘রানি’, বাঘের নাম ‘কালী’! আধিকারিকরা যখন বাঘকে নাম ধরে ডাকছে, তখন সে মহানন্দে সারা দিচ্ছে ঘাড় অথবা লেজ নেড়ে, আবার খেতে ডাকলেও চুপচাপ চলে আসছে, নিজের জায়গায় বসতে বললে সেখানেই বসে থাকছে। অন্যদিকে ভাল্লুক ‘রানি’র তো ব্যাপারই আলাদা। তাকে ‘রানি’ বলে ডাকলে সে ছুটে চলে এসে দাঁড়িয়ে যায় একদম সামনে। মাথায়, গায়ে হাত না বুলিয়ে দিলে তার আবার গোঁসা হয়।

advertisement

View More

এখানকার কর্মীরা সারাদিন প্রাণীদের জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করেন। যত্ন-সহকারে প্রত্যেকটা প্রাণীর খেয়াল রাখেন কর্মীরা। বর্ধমানের রেঞ্জ অফিসার কাজল বিশ্বাস বলেন, “আমরা আমাদের স্টাফদেরও নিয়মিত হেলথ চেক-আপ করাই। যাতে স্টাফদের থেকে প্রাণীদের কোনও রকম ইনফেকশন না হয়।” রবীন্দ্রনাথ পাল নামের এক কর্মচারী বলেন, “বাড়ি থেকে সকালবেলা এখানে আসার পর থেকেই আমরা ওদের নিয়েই ব্যস্ত থাকি। এখানকার আধিকারিকরাও আমাদের খুবই সহযোগিতা করেন। আর দীর্ঘদিন থাকতে থাকতে ওদের সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে উঠেছে।\”

advertisement

প্রাণীদের যাতে কোনও ক্ষতি না হয়, তার জন্যও একাধিক ব্যবস্থা রয়েছে। রমনাবাগান পার্কে হাইজিন বজায় রাখতে সকল কর্মী মাস্ক, গ্লভস ব্যবহার করেন। কোনও যানবাহন প্রবেশ করতে দেওয়া হয় না। এছাড়া পিপিই কিটের ব্যবস্থাও রয়েছে।

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
স্বাধীনতা আন্দোলনের গোপন ঘাঁটি ছিল এই কালীমন্দির! দেখে আসুন নিজের চোখেই
আরও দেখুন

বনোয়ারীলাল চৌধুরী

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
Bardhaman: নাম ধরে ডাকলেই বাঘ নাড়ছে লেজ, ভাল্লুকের আদর খাওয়ার বায়না, কোথায় বলুন তো? পড়ুন
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল