Indian Railway: এখনও অসম্পূর্ণ ‘ভ‍্যাবলা’! হাজার হাজার মানুষের ভরসা, এই ‘হল্ট’ নিয়ে প্রতীক্ষায় বসিরহাটবাসী

Last Updated:
১৯৫৫ সালে পুরনো বসিরহাট স্টেশনটি উঠে যাওয়ার পর সেই জায়গাতেই গড়ে ওঠে বর্তমানের ৭২ নম্বর বাস স্ট্যান্ড। পরবর্তীতে ১৯৬১ সালে চালু হয় ব্রড গেজ রেললাইন। তবে সেই সময়ে গোটা লাইনটি ছিল সিঙ্গেল, ফলে ট্রেন চলাচল সীমিত ছিল। তবু এই রেলই তখন গ্রাম থেকে শহরে যোগাযোগের একমাত্র নির্ভরযোগ্য মাধ্যম ছিল।
1/6
উত্তর ২৪ পরগনা জেলার প্রাণকেন্দ্র বসিরহাট শহর। শহরের মধ্যে দুটি গুরুত্বপূর্ণ রেলস্টেশন— বসিরহাট ও ভ্যাবলা হল্ট। বারাসাত–হাসনাবাদ লাইনের এই দুই স্টেশন শুধুমাত্র যাতায়াতের কেন্দ্র নয়, স্থানীয় মানুষের জীবনের অঙ্গ। প্রতিদিন হাজারো মানুষ এই দুই স্টেশন দিয়ে জীবিকার তাগিদে শহরে আসা–যাওয়া করেন।
র উত্তর ২৪ পরগনা জেলার প্রাণকেন্দ্র বসিরহাট শহর। শহরের মধ্যে দুটি গুরুত্বপূর্ণ রেলস্টেশন— বসিরহাট ও ভ্যাবলা হল্ট। বারাসাত–হাসনাবাদ লাইনের এই দুই স্টেশন শুধুমাত্র যাতায়াতের কেন্দ্র নয়, স্থানীয় মানুষের জীবনের অঙ্গ। প্রতিদিন হাজারো মানুষ এই দুই স্টেশন দিয়ে জীবিকার তাগিদে শহরে আসা–যাওয়া করেন।
advertisement
2/6
১৯৫৫ সালে পুরনো বসিরহাট স্টেশনটি উঠে যাওয়ার পর সেই জায়গাতেই গড়ে ওঠে বর্তমানের ৭২ নম্বর বাস স্ট্যান্ড। পরবর্তীতে ১৯৬১ সালে চালু হয় ব্রড গেজ রেললাইন। তবে সেই সময়ে গোটা লাইনটি ছিল সিঙ্গেল, ফলে ট্রেন চলাচল সীমিত ছিল। তবু এই রেলই তখন গ্রাম থেকে শহরে যোগাযোগের একমাত্র নির্ভরযোগ্য মাধ্যম ছিল।
১৯৫৫ সালে পুরনো বসিরহাট স্টেশনটি উঠে যাওয়ার পর সেই জায়গাতেই গড়ে ওঠে বর্তমানের ৭২ নম্বর বাস স্ট্যান্ড। পরবর্তীতে ১৯৬১ সালে চালু হয় ব্রড গেজ রেললাইন। তবে সেই সময়ে গোটা লাইনটি ছিল সিঙ্গেল, ফলে ট্রেন চলাচল সীমিত ছিল। তবু এই রেলই তখন গ্রাম থেকে শহরে যোগাযোগের একমাত্র নির্ভরযোগ্য মাধ্যম ছিল।
advertisement
3/6
যাত্রী সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বসিরহাট শহরের আশেপাশের এলাকায় নতুন স্টেশনের দাবি ওঠে। অবশেষে ১৯৮০ সালে বসিরহাট টাউনের পাশে গড়ে ওঠে ভ্যাবলা হল্ট স্টেশন। সহজ পরিসরে তৈরি হলেও এই ছোট্ট স্টেশন দ্রুতই এলাকার মানুষের যাতায়াতের প্রধান নির্ভর হয়ে ওঠে। প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলাচল করে একের পর এক ট্রেন, আর যাত্রীদের ভিড়ে মুখরিত থাকে স্টেশন চত্বর।
যাত্রী সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বসিরহাট শহরের আশপাশের এলাকায় নতুন স্টেশনের দাবি ওঠে। অবশেষে ১৯৮০ সালে বসিরহাট টাউনের পাশে গড়ে ওঠে ভ্যাবলা হল্ট স্টেশন। সহজ পরিসরে তৈরি হলেও এই ছোট্ট স্টেশন দ্রুতই এলাকার মানুষের যাতায়াতের প্রধান নির্ভর হয়ে ওঠে। প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলাচল করে একের পর এক ট্রেন, আর যাত্রীদের ভিড়ে মুখরিত থাকে স্টেশন চত্বর।
advertisement
4/6
৯০-এর দশক থেকেই যাত্রী পরিষেবা আরও সম্প্রসারিত হয়। ২০১৮ সালে বেলিয়াঘাটা থেকে চাঁপাপুকুর পর্যন্ত ডবল লাইন চালু হলেও ভ্যাবলা পর্যন্ত সেই কাজ এখনো সম্পূর্ণ হয়নি। ইতিমধ্যে চাঁপাপুকুর থেকে হাসনাবাদ পর্যন্ত ডবল লাইনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে, যা বাস্তবায়িত হলে ভ্যাবলা স্টেশনের গুরুত্ব আরও বাড়বে বলেই মনে করছেন রেল কর্তৃপক্ষ।
৯০-এর দশক থেকেই যাত্রী পরিষেবা আরও সম্প্রসারিত হয়। ২০১৮ সালে বেলিয়াঘাটা থেকে চাঁপাপুকুর পর্যন্ত ডবল লাইন চালু হলেও ভ্যাবলা পর্যন্ত সেই কাজ এখনও সম্পূর্ণ হয়নি। ইতিমধ্যে চাঁপাপুকুর থেকে হাসনাবাদ পর্যন্ত ডবল লাইনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে, যা বাস্তবায়িত হলে ভ্যাবলা স্টেশনের গুরুত্ব আরও বাড়বে বলেই মনে করছেন রেল কর্তৃপক্ষ।
advertisement
5/6
বর্তমানে ভ্যাবলা স্টেশনে রয়েছে একটি প্ল্যাটফর্ম, একটি লাইন, পানীয় জলের ব্যবস্থা এবং একটি ছোট গ্যারেজ। অবকাঠামো সীমিত হলেও প্রতিদিন কয়েক হাজার যাত্রী এখানে ওঠানামা করেন। ২০২৫ সালের ইউটিএস আয়ের নিরিখে দেখা গেছে, শিয়ালদা ডিভিশনের ২০৩টি স্টেশনের মধ্যে ভ্যাবলা স্টেশন রয়েছে ৭৮ নম্বর স্থানে, এবং বারাসাত–হাসনাবাদ লাইনে এটি তৃতীয় স্থানে অবস্থান করছে — যা ছোট স্টেশনের জন্য একটি গর্বের বিষয়।
বর্তমানে ভ্যাবলা স্টেশনে রয়েছে একটি প্ল্যাটফর্ম, একটি লাইন, পানীয় জলের ব্যবস্থা এবং একটি ছোট গ্যারেজ। অবকাঠামো সীমিত হলেও প্রতিদিন কয়েক হাজার যাত্রী এখানে ওঠানামা করেন। ২০২৫ সালের ইউটিএস আয়ের নিরিখে দেখা গিয়েছে, শিয়ালদা ডিভিশনের ২০৩টি স্টেশনের মধ্যে ভ্যাবলা স্টেশন রয়েছে ৭৮ নম্বর স্থানে, এবং বারাসাত–হাসনাবাদ লাইনে এটি তৃতীয় স্থানে অবস্থান করছে — যা ছোট স্টেশনের জন্য একটি গর্বের বিষয়।
advertisement
6/6
ভ্যাবলা হল্ট শুধু একটি স্টেশন নয় — এটি বসিরহাট ও সংলগ্ন এলাকার মানুষের ইতিহাস, আশা ও ভবিষ্যতের প্রতীক। এই ছোট্ট রেলস্টেশন ঘিরেই গড়ে উঠেছে বহু জীবনের গল্প, কর্মসংস্থান ও যোগাযোগের নতুন অধ্যায়। ভবিষ্যতে যখন ডবল লাইন প্রকল্প সম্পূর্ণ হবে, তখন আরও গতি পাবে এই অঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থার স্বপ্ন, আর ভ্যাবলা স্টেশন হয়ে উঠবে বসিরহাটের প্রকৃত “দ্বারপথ”।
ভ্যাবলা হল্ট শুধু একটি স্টেশন নয় — এটি বসিরহাট ও সংলগ্ন এলাকার মানুষের ইতিহাস, আশা ও ভবিষ্যতের প্রতীক। এই ছোট্ট রেলস্টেশন ঘিরেই গড়ে উঠেছে বহু জীবনের গল্প, কর্মসংস্থান ও যোগাযোগের নতুন অধ্যায়। ভবিষ্যতে যখন ডবল লাইন প্রকল্প সম্পূর্ণ হবে, তখন আরও গতি পাবে এই অঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থার স্বপ্ন, আর ভ্যাবলা স্টেশন হয়ে উঠবে বসিরহাটের প্রকৃত “দ্বারপথ”।
advertisement
advertisement
advertisement