TRENDING:

Bardhaman news: হাতির পাল আবার ফিরে আসবে না তো? এখনও উদ্বেগে পূর্ব বর্ধমানের বাসিন্দারা

Last Updated:

Bardhaman news: হাতিরা ফের দামোদর পেরিয়ে যাতে এই জেলায় আবার চলে আসতে না পারে তা বনদফতর নিশ্চিত করুক। এমনটাই চাইছেন এই জেলার কৃষকরা।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#বর্ধমান: পূর্ব বর্ধমান (East Bardhaman)থেকে বাঁকুড়া (Bankura) জেলায় হাতির দল ফিরে যাওয়ায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেন বাসিন্দারা। হাতিরা ফের দামোদর পেরিয়ে যাতে এই জেলায় আবার চলে আসতে না পারে তা বনদফতর নিশ্চিত করুক। এমনটাই চাইছেন এই জেলার কৃষকরা। হাতির দলকে বাঁকুড়া জেলায় ফেরাতে পেরে এক রকম হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছেন বনদফতরের আধিকারিক ও বনকর্মীরা। টানা ৯ দিন ধরে হুলা পার্টির মাধ্যমে হাতিগুলিকে বাঁকুড়া জেলায় ফেরত পাঠানোর চেষ্টা চালানো হচ্ছিল। অবশেষে সেই কাজে সাফল্য মিলেছে। শুক্রবার ভোরে হাতির দলটিকে বাঁকুড়া জেলায় ফেরত পাঠানো সম্ভব হয়।
হাতির পাল আবার য়ুইপে আসবে না তো? এখনও উদ্বেগে পূর্ব বর্ধমানের বাসিন্দারা
হাতির পাল আবার য়ুইপে আসবে না তো? এখনও উদ্বেগে পূর্ব বর্ধমানের বাসিন্দারা
advertisement

৯ দিন ধরে পূর্ব বর্ধমান (East Bardhaman) জেলায় ছিল শাবক সহ ৬২টি হাতির বিশাল দল। তাদের ফেরত পাঠাতে কার্যত দিনরাত এক করে চেষ্টা চালাতে হয়েছে বনদফতরের আধিকারিকদের। প্রতি রাতেই দলমা থেকে আসা হাতির দলটিকে ফেরত পাঠানোর চেষ্টা চালানো হয়েছিল। কিছুটা পথ গিয়ে তারা আবার আগের জায়গায় ফেরত চলে আসছিল। শেষের কয়েক দিন হাতির দলটি আউশগ্রামের ভালকি মাচান সংলগ্ন জঙ্গলে ছিল। সেখান থেকেই তাদের গলসি মানকরের উপর দিয়ে প্রথমে রেল লাইন ও পরে দুই নম্বর জাতীয় সড়ক পার করে দামোদর টপকে ফেরত পাঠানো হয়। এ জন্য প্রথমে বেশ কিছুক্ষণ ট্রেন ও পরে জাতীয় সড়কে যান চলাচল বন্ধ রাখতে হয়।

advertisement

আরও পড়ুন- সামান্য খরচে অস্থি মজ্জা প্রতিস্থাপন করে সুস্থ ৭৫ জন ক্যানসার আক্রান্ত! নজির বাংলার এই হাসপাতালের

তবে হাতির দলটি ফিরে গেলেও তারা আবার খাবারের টানে এই জেলায় ফিরে আসতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন গলসি আউশগ্রামের কৃষকরা। এই কয়েক দিনে হাতির দলটি কয়েক হাজার বিঘে পাকা ধানের ব্যাপক ক্ষতি করেছে। পাকা ধান নষ্ট হতে দেখে মাথায় হাত পড়েছে কৃষকদের। বাসিন্দারা বলছেন, হাতি একদিনে দুশো কিলোমিটার পথও অনায়াসে পেরিয়ে যেতে পারে। তাই রাতের অন্ধকারে যাতে দলটি ফের ফিরে না আসে তা নিশ্চিত করতে হবে বন দফতরকে।

advertisement

আরও পড়ুন- স্টুডেন্টস ডে-তে ২০ হাজার পড়ুয়ার হাতে স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড? বিশেষ লক্ষ্য স্থির মুখ্য সচিবের

হাতির দলের গতিবিধি নজর রাখতে বাঁকুড়া জেলায় দামোদর সংলগ্ন এলাকায় বন দফতরের ওয়াচ পয়েন্ট রয়েছে। সেখানের দায়িত্বে থাকা কর্মীদের নজর এড়িয়ে কিভাবে এত বড় হাতির দলটি পূর্ব বর্ধমান (East Bardhaman) জেলায় ঢুকে পড়ল তা নিয়ে আগেই প্রশ্ন উঠেছে। গলসির কৃষকরা বলছেন, নজরদারিতে যে গাফিলতি ছিল তা পরিষ্কার। তার ফলে চাষের ব্যাপক ক্ষতি হয়ে গেল। তার উপর অকাল বৃষ্টিতেও মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে। আবার যাতে হাতি এসে ক্ষতি করতে না পারে তা নিশ্চিত করুক বন দফতর। সেজন্য প্রয়োজনীয় সব রকম পদক্ষেপ নেওয়া হোক। পাশাপাশি অবিলম্বে যাতে কৃষকরা ক্ষতিপূরণ পান তা নিশ্চিত করা হোক।

advertisement

শরদিন্দু ঘোষ 

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
Bardhaman news: হাতির পাল আবার ফিরে আসবে না তো? এখনও উদ্বেগে পূর্ব বর্ধমানের বাসিন্দারা
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল