তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যর বাবাকে মারধর ও খুনের চেষ্টার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হয়েছে তারা। সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে বর্ধমান ডেভেলপমেন্ট অথরিটির চেয়ারপার্সন তথা বর্ধমান ১ নং ব্লক তৃণমূল সভাপতি কাকলি তা গুপ্ত ছাড়াও রয়েছে বর্ধমান ১ পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ তথা বর্ধমান ১-এর যুব তৃণমূলের সভাপতি মানস ভট্টাচার্য,রায়ান ১ গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান কার্তিক বাগ ও অঞ্চল সভাপতি শেখ জামাল সহ-১৩ জন।এফআইআর-এ ১৫ জনের নাম ছিল। সবাই এতদিন জামিনে মুক্ত ছিলেন। ২ জনকে বেকসুর খালাস করে ১৩ জনকে কাস্টডি নেয় আদালত।
advertisement
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৭ সালের ৫ সেপ্টেম্বর পঞ্চায়েত সদস্য জীবন পালের বাবা দেবু পাল গ্রামেরই দুর্গাতলায় সন্ধেবেলায় বসে ছিলেন। অভিযোগ, সেই সময় তাঁর উপর অভিযুক্তরা বাঁশ,লাঠি,টাঙ্গি নিয়ে হামলা চালায়। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে প্রথমে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও পরে কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয়। এর পরই দেবু পালের স্ত্রী তথা জীবন পালের মা সন্ধ্যা পাল বর্ধমান থানায় অভিযোগ দায়ের করে।
সোমবার ফাস্ট ট্র্যাক দ্বিতীয় আদালতের বিচারক অরবিন্দ মিশ্র ১৩ জনকে দোষী সাব্যস্ত করে এবং কাস্টডিতে নেয়। আগামিকাল সাজা ঘোষনা করবে আদালত। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস বলেন, আমরা বিচার ব্যবস্থার উপর আস্থা রাখছি।