নক্ষত্র খচিত রাতের আকাশ দেখতে কারই না ভাল লাগে! তবে সময়ের অভাবে রাতের আকাশের দিকে তাকিয়ে সপ্তর্ষিমণ্ডল খোঁজা হয়ে ওঠে না অনেকেরই। এই লকডাউন অনেকের কাছে সেই ফুরসত এনে দিয়েছে আর এসব নিয়ে যারা গবেষণা করছে তারা তো টেলিস্কোপে চোখ লাগিয়ে আকাশ দেখছে সর্বক্ষণ। শুদ্ধসত্ত্বরা তেমনই। তারা চায় তাদের এই ভালোলাগাটা নতুন প্রজন্মের আরো অনেকের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে।আজকের ছোটরা যাতে আকাশ ও মহাবিশ্ব সম্পর্কের আরো উৎসাহিত হয় তার একটা পরিকাঠামো তৈরি করতে। এইজন্য বর্ধমান তারামণ্ডল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে একত্রিত হয়ে কাজ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন তারা।
advertisement
বর্ধমানের কালনা গেট এলাকার বাসিন্দা শুদ্ধাসত্ত্ব চৌধুরি। চন্ডিগড় ইউনিভার্সিটি অ্যারোস্পেস ডিপার্টমেন্টের ছাত্র। শুদ্ধাসত্ত্বের সঙ্গি কম্পিউটার সায়েন্সের ছাত্র প্রিয়ম হালদার, অপরজন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারের ছাত্রী ঐশ্বর্য পাঁজা। লক ডাউনে টেলিস্কোপে চোখ রেখে আকাশ দেখে চলাই তাদের কাজ। কলেজ পড়ুয়া বিজ্ঞানীরা তাদের টিমের নাম দিয়েছে *গ্লোবট্রর্টাস*।
নতুন এই গ্রহাণু দুটির কোড নেম P11dsAI ও Iub4271।
Isc ডেটাবেস অনুযায়ী গ্রহাণুদুটির নাম Glo0020 ও Glo0036।
p11dsai এই গ্রহাণুর ব্যাসার্ধ 0.6 মাইলের বেশি। এটি M টাইপ অ্যাসটেরোইড। যাতে 110 পাউন্ড এর বেশি প্লাটিনাম এর অস্তিত্ব পাওয়া গেছে বলে দাবী তাদের।
নাসা স্বীকৃত সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সার্চ কোলাবরেশন তাদের স্বীকৃতি দিয়ে শংসাপত্র দেয়। তাদেরকে নাসার সায়েন্টিস্ট প্রোগ্রামের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। শুদ্ধাসত্ত্ব ইচ্ছা বর্ধমান থেকে মহাকাশ নিয়ে গবেষণা চালিয়ে যাওয়ার। গ্রামীণ দূষণ মুক্ত আবহাওয়া তার কাজে সহায়তা করবে বলে জানিয়েছেন। যারা এই বিষয়ে উৎসাহী তাদের পাশে থাকার আশ্বাস তরুণ মহাকাশ গবেষকের।