রবিবার সকালে তেমনই বিপদের মধ্যে পড়েছিল বিজয় দাসের পরিবার। তাঁর স্ত্রী মন্দিরা দাসের প্রসব বেদনা দেখা দেওয়ার তাঁকে পিলখানা গ্রাম থেকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। পথেই হলদি দে পাড়ার কাছে সন্তানের জন্ম দেন তিনি। এরপর তড়িঘড়ি হাসপাতালে যাওয়ার ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়ায় এই রেল গেট। দীর্ঘক্ষণ এই গেটে আটকে থাকতে হয় তাদের।
advertisement
জাতীয় সড়কে বর্ধমান থেকে ভেদিয়ার মধ্যে তালিত রেলগেট এবং ভেদিয়ায় রেল ফুকো যাত্রীদের নিত্য দুর্ভোগের কারণ হয়ে দেখা দিয়েছে।বেশ কয়েক বছর ধরে জাতীয় সড়কের এই দু জায়গায় উড়ালপুল তৈরির পরিকল্পনা হলেও তা আজ পর্যন্ত বাস্তবায়িত হয়নি। ফলে দুর্ভোগের স্বীকার হচ্ছেন রোগী থেকে সাধারন মানুষ সকলেই।অভিযোগ, দীর্ঘক্ষন রেল গেট বন্ধ থাকায় হাসপাতালে নিয়ে যাবার আগে রোগীর মৃত্যু পর্যন্ত হয়েছে। আবার দীর্ঘক্ষন রেলগেট বন্ধ থাকায় যানজট নিত্যসঙ্গী।সেই জট ঠেলে যেতে দীর্ঘ সময় লেগে যায়।এখন বিধিনিষেধের কারণে বেশীরভাগ ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকাতেও দীর্ঘক্ষন রেলগেট বন্ধ থাকে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, বর্ধমান থেকে বীরভূম যাওয়া এন.এইচ.২বি রাস্তাটি খুবই ব্যস্ততম। এই ব্যস্ত রাস্তার ওপর তালিত রেলগেট দিনের বেশির ভাগ সময় বন্ধ থাকায় দীর্ঘক্ষন অপেক্ষা করতে হয় যাত্রী থেকে রোগীকে। সাধারণ মানুষের মতে রেলগেটের ওপর উড়ালপুল তৈরি হলে যাতায়াতের খুব সুবিধা হবে। কিন্তু কবে তৈরি হবে উড়ালপুল? কবেই বা যান যন্ত্রনা থেকে মুক্তি মিলবে এই জাতীয় সড়কে? সেদিনের অপেক্ষায় বাসিন্দারা।