এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, দেড় বছর আগে থেকে এলাকায় আনাগোনা শুরু করে অমৃতাভ। কলকাতার জোড়াবাগান এলাকায় সপরিবারে থাকলেও তার গ্রামের বাড়ি মন্তেশ্বরের বামুনপাড়া গ্রামে। বছর দুয়েক আগে মন্তেশ্বর বাজার এলাকায় বেশ কয়েক লক্ষ টাকা খরচ করে জায়গা কেনে অমৃতাভর পরিবার। এরপর সেই জমির ওপর তৈরি হচ্ছিল প্রাসাদোপম বাড়ি।
এলাকার বাসিন্দারা বলছেন, চার চাকার গাড়িতে সবান্ধবে নিয়মিত আসত অমৃতাভ। প্রচুর টাকা ওড়াতো। দামি সিগারেট খেত। রাত পর্যন্ত পার্টি চলতো। এক একদিনে দশ হাজার টাকা বা তারও বেশি হাত খরচা ছিল তাঁর। টাকা দিয়ে এলাকার বেশ কিছু যুবককে হাত করে নিয়েছিল অমৃতাভ। তার এই চালচলন ভালোভাবে নেননি এলাকার বাসিন্দারা। হঠাৎ বেড়ে গিয়েছিল প্রতিপত্তি। মোটা টাকা খরচ করে রাখা মাসলম্যানরা সব সময় ঘিরে রাখত তাকে। তাই মনে নানান প্রশ্ন উঁকি দিলেও চুপ ছিলেন আশপাশের সকলেই।
advertisement
জ্ঞানেশ্বরী কান্ডে প্রতারণার অভিযোগে অমৃতাভ চৌধুরী ও তার বাবা মিহির চৌধুরীকে সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করতেই এখন মন্তেশ্বরে অমৃতাভর হঠাৎ করে বদলে যাওয়া জীবনযাপন আলোচনার অন্যতম বিষয় হয়ে উঠেছে। কোথা থেকে সে এত টাকা পেয়েছিল তা ই মূলত চর্চার বিষয় হয়ে উঠেছে এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে। সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, অমৃতাভ ও তার পরিবার একসঙ্গে এত টাকা কোথা থেকে পেল তা খতিয়ে দেখছে তারা।মন্তেশ্বরের পাশাপাশি আর কোথাও সম্পত্তি কেনা হয়েছিল কিনা বা সেখানে প্রোমোটারি শুরু হয়েছিল কিনা, মন্তেশ্বর বাজার ও বামুনপাড়া গ্রামে বাড়ি তৈরিতে কত টাকা খরচ করা হয়েছে, সেই টাকা কোথা থেকে এসেছিল- সেসব খতিয়ে দেখছে তদন্তকারী অফিসাররা।
