অতিমারির সময়ে করোনা আক্রান্তদের নিখরচায় চিকিৎসা পরিষেবা দিচ্ছে পুরসভা৷ সেই সময় পুরএলাকার করোনা আক্রান্তকে ফোন করে পুরসভার মেডিক্যাল অফিসার পরিচয় দিয়ে টেলি মেডিসিন দেওয়ার নাম করে ৩০০ টাকা দাবি করে চিকিৎসক শুভজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিযুক্ত চিকিৎসক তার পাওনা টাকা 'গুগল পে'-র মাধ্যমে তাকে পাঠানোর নির্দেশে দেয়। অভিযোগকারী অক্ষয় সামন্ত চিকিৎসকের প্রাপ্য ৩০০ টাকা গুগল পে মাধ্যমে পাঠিয়েও দেন। সমস্যা তৈরি হয় ওষুধ কিনতে গিয়ে। ওষুধের দোকান থেকে সাফ বলা হয় চিকিৎসকের লিখিত প্রেসক্রিপশন ছাড়া ওষুধ দেওয়া যাবে না। তখন অক্ষয় সামন্ত ফের চিকিৎসক শুভজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফোন করলে ফের ২০০ টাকা দাবি করে চিকিৎসক৷ অক্ষয়কে জানানো হয় তার ব্যক্তিগত চেম্বারে এসে প্রেসক্রিপশন নিয়ে যেতে হবে। অক্ষয় সামন্তের সন্দেহ হওয়ায় বন্ধুবান্ধবদের জিজ্ঞাসা করে জানতে পারেন করোনা চিকিৎসা সরকারি হাসপাতাল বা কাটোয়া পুরসভাতে নিখরচায় করা হচ্ছে। অক্ষয় সামন্ত সুস্থ হয়ে শুক্রবার কাটোয়া পুরসভার প্রশাসকের কাছে চিকিৎসক শুভজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা দেন। এদিকে শুক্রবার থেকে পুরসভার স্বাস্থ্যকেন্দ্রে মেডিক্যাল অফিসার শুভজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় ছুটিতে। তার ঘর বন্ধ। অভিযুক্ত চিকিৎসক শুভজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় ফোন করার কথা সহ টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করে জানায়, করোনা আক্রান্তকে চিকিৎসা করে পারিশ্রমিকের প্রাপ্য টাকা নেওয়া যদি ভুল হয় তাহলে ভুল হয়েছে।
advertisement
জানা গিয়েছে যে, চিকিৎসক শুভজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় শহরের করোনা আক্রান্তদের তালিকায় জোগাড় করে, তাদের নাম ধরে ফোন করতেন৷ তারপর এভাবেই টাকা নিয়ে চিকিৎসা করতেন বলে অভিযোগ। যদিও অভিযুক্ত চিকিৎসক একথা অস্বীকার করেছেন। পুরপ্রশাসক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, বৃহস্পতিবার কাটোয়ার মহকুমা শাসকের কাছে জনৈক এক ব্যক্তি পুরসভার মেডিক্যাল অফিসারের বিরুদ্ধে এই ধরনের অভিযোগ করেছিলেন। সে কথা তাকে জানানো হয়েছে। তখনই ঘটনার সত্যতা জানবার জন্য চিকিৎসককে চিঠি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিন্তু শুক্রবার আবার একই অভিযোগ পাওয়ায় ডাঃ শুভজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়কে শোকজ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ডাঃ শুভজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় পুরসভার ঠিকা চুক্তির চিকিৎসক। উপযুক্ত নথি সহ জবাব না পেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।