#বর্ধমান: পুরসভা ও পঞ্চায়েতের টোটোয় লাগানো হচ্ছে আলাদা আলাদা রঙের স্টিকার। ১০০টি রুটে ভাগ করে দেওয়া হবে টোটোগুলিকে। এরফলে যানজট অনেকটাই কমবে বলে মনে করছে প্রশাসন। তবে তার আগে টোটোগুলিকে ই-রিকশায় বদলে নিতে হবে। চালকদের নিতে হবে লাইসেন্স। তাতে উল্লেখ থাকবে রুট। করাতে হবে ই-রিকশার বিমাও। যার রিকশা চালাতে হবে তাকেই। রুট, ই-রিকশার নম্বর-সহ ড্রাইভিং লাইসেন্স লাগানো থাকবে ই-রিকশার উইন্ড স্ক্রিনাে। নতুন বছরের প্রথম দিন থেকে বর্ধমানে টোটো চলাচল করবে এই পদ্ধতিতে।
advertisement
বর্ধমান শহরে বৈধ টোটোর থেকে দশগুন বেশি চলে বেআইনি টোটো। এখন বর্ধমান শহরে টোটোর সংখ্যা ১৪ হাজারেরও বেশি। যানজট তাই এ শহরের নিত্যসঙ্গী। বার বার নিষেধাজ্ঞার সত্ত্বেও জি টি রোডে টোটো চলানোয়ে পুলিশ সেই টোটো ভাঙতে শুরু করে। মাঝরাস্তায় মাথায় ফেট্টি বাঁধা পুলিশের লাঠি হাতে টোটো ভাঙার সেই ছবি ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। সমালোচনার মুখে পড়ে পুলিশ প্রশাসন। এরপরই টোটো চলাচলে শৃঙ্খলা ফেরাতে উদ্যোগী হয় প্রশাসন। পুলিশ ও প্রশাসনের আধিকারিক, টোটো চালকদের প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠকে বসেন জেলাশাসক।
সেখানে ঠিক হয়েছে ১লা জানুয়ারি থেকে-
- টোটো চালকদের ইচ্ছে অনুযায়ী নয়, প্রশাসনের নির্দিষ্ট করে দেওয়া রুটে চলবে ই-রিকশা। কমবেশি ১০০টি রুট চিহ্নিত করবে প্রশাসন।
- কোন রুটে কটি টোটো চলবে তা সেই রুটের গুরুত্ব অনুয়ায়ী নির্ধারণ করবে প্রশাসন।
- বর্ধমান শহর লাগোয়া পঞ্চায়েতের টোটো শহরে ঢুকতে পারবে। তবে পুরসভা ও পঞ্চায়েতের টোটো চিহ্নিত করতে আলাদা আলাদা রঙ ও আকারের স্টিকার লাগিয়ে দেওয়া হবে।
- নতুন পদ্ধতি শুরুর আগে সব ই-রিকশা চালককেই ড্রাইভিং লাইসেন্স নিতে হবে। টোটোকে ই-রিকশায় পরিবর্তন করাতে হবে।
- যার নামে লাইসেন্স তাকেই টোটো চালাতে হবে। শহরে এমন অনেক ব্যক্তি রয়েছেন যাঁদের ২০ ৩০টি পর্যন্ত টোটো রয়েছে। তাঁরা দৈনিক ৩০০-৪০০ টাকা চুক্তিতে এক একটি টোটো ভাড়া দেন। যার টোটো সেই চালাতে পারবে এই সিস্টেম চালু হলে শহরে টোটোর সংখ্যা কমবে বলে মনে করছে প্রশাসন।
বর্ধমান শহরের পাশাপাশি কালনা, কাটোয়া মহকুমা-সহ পূর্ব বর্ধমান জেলা জুড়েই এই পদ্ধতিতে আগামী বছরের প্রথম দিন থেকে টোটো চলবে।
নতুন পদ্ধতিতে খুশি টোটো চালক ও তাদের সংগঠন। তাদের বক্তব্য, রুট ভাগ-সহ সব সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে টোটো চালকদের আয় বাড়বে। শহরও যানজট মুক্ত হবে। সুবিধা হবে যাত্রীদেরও।