জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, ঝড়-বৃষ্টিতে বেশ কিছু বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে পড়েছে। গাছ পড়ে বেশ কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। দ্রুততার সঙ্গে সেগুলোর মেরামতের কাজ চলছে। কিছু বাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে প্রাথমিক রিপোর্টে জানা গিয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির বিস্তারিত বিবরণ সংগ্রহ করা হচ্ছে। বিস্তারিত রিপোর্ট ব্লকগুলির কাছে চেয়ে পাঠিয়েছে জেলা প্রশাসন। সর্বক্ষণের জন্য কন্ট্রোল রুম চালু রাখা হয়েছে। যে কোনও রকম বিপর্যয় মোকাবিলার জন্য সংশ্লিষ্ট দফতরের কর্মীও আধিকারিকরা তৈরি রয়েছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।
advertisement
ইয়াসের প্রভাবে পূর্ব বর্ধমান জেলায় ব্যাপক ঝড়ের আশঙ্কা করা হয়েছিল। তবে সে তুলনায় ঝড়ের দাপট ছিল অনেকটাই কম। তবে বুধবার দিনভর দমকা হাওয়া বয়েছে। অতি ভারি বর্ষণের সতর্কবার্তা থাকলেও তেমন বৃষ্টির দেখা মেলেনি। তবে বুধবার দিনভর আকাশ মেঘলা ছিল। জেলা জুড়ে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হয়েছে। বৃহস্পতিবারও আকাশ মেঘলা। হাওয়া বইছে। এদিন সকালে জেলার বিস্তীর্ণ অংশে মাঝারি থেকে ভারি ধরনের বৃষ্টি হয়েছে। জেলা পুলিশের পক্ষ থেকেও প্রতিটি থানা এলাকায় কুইক রেসপন্স টিম গঠন করা হয়েছিল। মূলত জেলার দামোদর তীরবর্তী গলসি,খণ্ডঘোষ, জামালপুর, রায়না ও ভাগীরথী তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। ইয়াসের ফাঁড়া কেটে যাওয়ায় তাদের অনেকেই আবার বাড়ি ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।