TRENDING:

ত্রাণ শিবিরে সাড়ে ৯ হাজার বাসিন্দা, ইয়াসের পর কী পরিস্থিতি পূর্ব বর্ধমানে, জানুন

Last Updated:

ইয়াসের (cyclone yaas effect) প্রভাবে পূর্ব বর্ধমান জেলায় ব্যাপক ঝড়ের আশঙ্কা করা হয়েছিল। তবে সে তুলনায় ঝড়ের দাপট ছিল অনেকটাই কম।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#পূর্ব বর্ধমান: পূর্ব বর্ধমান জেলায় (East Burdwan Cyclone Yaas) ইয়াসের জেরে ঝড় বৃষ্টির কারণে প্রায় সাড়ে  ন’হাজার বাসিন্দাকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সব দফতর পরিস্থিতির ওপর নজর রেখে চলেছে বলে জেলা প্রশাসন জানিয়েছে। পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলার মোট ৯ হাজার ৩১১ জন বাসিন্দাকে ত্রাণ শিবিরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পূর্ব বর্ধমান জেলায় এ দিন পর্যন্ত উনিশটি ব্লক ও একটি পুর এলাকা মিলিয়ে ২০৯ টি ত্রাণ শিবির খোলা (Relief Camp)হয়েছে। সেখানেই আশ্রয় নিয়েছেন দুর্গতরা। করোনা পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে তাদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিকের জানিয়েছেন। মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজারের পাশাপাশি সেখানে তাদের পর্যাপ্ত পানীয় জল ও খাবারের ব্যবস্থাও করা হয়েছে।
advertisement

জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, ঝড়-বৃষ্টিতে বেশ কিছু বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে পড়েছে। গাছ পড়ে বেশ কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। দ্রুততার সঙ্গে সেগুলোর মেরামতের কাজ চলছে। কিছু বাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে প্রাথমিক রিপোর্টে জানা গিয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির বিস্তারিত বিবরণ সংগ্রহ করা হচ্ছে। বিস্তারিত রিপোর্ট ব্লকগুলির কাছে চেয়ে পাঠিয়েছে জেলা প্রশাসন। সর্বক্ষণের জন্য কন্ট্রোল রুম চালু রাখা হয়েছে। যে কোনও রকম বিপর্যয় মোকাবিলার জন্য সংশ্লিষ্ট দফতরের কর্মীও আধিকারিকরা তৈরি রয়েছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।

advertisement

ইয়াসের প্রভাবে পূর্ব বর্ধমান জেলায় ব্যাপক ঝড়ের আশঙ্কা করা হয়েছিল। তবে সে তুলনায় ঝড়ের দাপট ছিল অনেকটাই কম। তবে বুধবার দিনভর দমকা হাওয়া বয়েছে। অতি ভারি বর্ষণের সতর্কবার্তা থাকলেও তেমন বৃষ্টির দেখা মেলেনি। তবে বুধবার দিনভর আকাশ মেঘলা ছিল। জেলা জুড়ে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হয়েছে। বৃহস্পতিবারও আকাশ মেঘলা। হাওয়া বইছে। এদিন সকালে জেলার বিস্তীর্ণ অংশে মাঝারি থেকে ভারি ধরনের বৃষ্টি হয়েছে। জেলা পুলিশের পক্ষ থেকেও প্রতিটি থানা এলাকায় কুইক রেসপন্স টিম গঠন করা হয়েছিল। মূলত জেলার দামোদর তীরবর্তী গলসি,খণ্ডঘোষ, জামালপুর, রায়না ও ভাগীরথী তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। ইয়াসের ফাঁড়া কেটে যাওয়ায় তাদের অনেকেই আবার বাড়ি ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
ত্রাণ শিবিরে সাড়ে ৯ হাজার বাসিন্দা, ইয়াসের পর কী পরিস্থিতি পূর্ব বর্ধমানে, জানুন
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল