গত রবিবার গোপন সূত্রে খবর পেয়ে মেমারি দুই নম্বর ব্লকের পাহাড়হাটি থেকে ১০টি অক্সিজেন সিলিন্ডার বাজেয়াপ্ত করে মেমারি থানার পুলিশ। পরে আরও ৪টি অক্সিজেন সিলিন্ডার বাজেয়াপ্ত করা হয়। সোমবার অভিযুক্ত দীপঙ্কর দত্তকে বর্ধমান আদালতে তোলা হলে চার দিনের পুলিশি হেফাজতে পাঠানো হয়।
advertisement
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে,বুধবার সকালে অভিযুক্ত দীপঙ্কর দত্তকে সঙ্গে নিয়ে মেমারী থানার ওসি দেবাশিস নাগের নেতৃত্বে ফের অভিযান চালায় পুলিশ।পাহাড়হাটি এলাকায় একটি গোডাউন থেকে আরও ৪৭ টি অক্সিজেন সিলিন্ডার উদ্ধার হয়।পুলিশ সূত্রে খবর উদ্ধার হওয়া অক্সিজেন সিলিন্ডারগুলোকে জেলা স্বাস্থ্য দফতরের হাতে তুলে দেওয়া হবে। তদন্তকারী পুলিশ অফিসারদের সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত দীপঙ্কর দত্ত কে হেফাজতে নিয়ে দীর্ঘ জেরা করা হয় তখনই সে আরো একটি গোডাউনে প্রচুর সংখ্যক অক্সিজেন সিলিন্ডার থাকার কথা স্বীকার করে এরপরই অভিযান চালিয়ে এই সাতচল্লিশটি অক্সিজেন সিলিন্ডার বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
জেলার অ্যাম্বুলেন্স চালকদের একটা অংশ বেআইনিভাবে বাড়িতে অক্সিজেন সিলিন্ডার মজুদ করে রেখেছে বলে খবর ছিল পুলিশের কাছে। সেই তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে কালনা থানার পুলিশ সাতটি অক্সিজেন সিলিন্ডার বাজেয়াপ্ত করে। বেআইনিভাবে অক্সিজেন সিলিন্ডার মজুতের অভিযোগে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারপরই মেমারিতে রান্নার গ্যাসের গোডাউনের মধ্য থেকে অক্সিজেন সিলিন্ডার উদ্ধার করে পুলিশ।