পাঁচ টাকা বা দশ টাকা সাইজের নয় ৷ ২ কেজি, এক কেজি সাইজের রসগোল্লা দেদার বিক্রি হচ্ছে এই মেলায়। সবই নলেন গুড়ের তৈরি। অনেকেই সেই রসগোল্লা কিনে হাসিমুখে বাড়ি ফিরছেন। কাটোয়ার শ্রীখন্ড গ্রামে বড় ডাঙ্গায় নরহরি ঠাকুরের বিরহ তিথি উপলক্ষে প্রতি বছরই অগ্রহায়ন মাসে মেলা বসে। সেখানে পালা গান, বাউল, কীর্তন-সহ চার দিন ধরে নানা অনুষ্ঠান হয়। মহাপ্রভু শ্রীচৈতন্যদেবের পার্ষদ নরহরি সরকারের বিরহ তিথি উপলক্ষে এই উৎসবের আয়োজন করা হয়। দশকের পর দশক ধরে উৎসাহ উদ্দীপনায় এই মেলা চলে আসছে।
advertisement
আরও পড়ুন- পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে অমিল ‘হর্সশু’ কাঁকড়া, একি বিপর্যয়ের ইঙ্গিত!
সেই উপলক্ষেই বিশাল মেলা বসেছে গ্রামে। এবারও মেলায় প্রায় তিনশো রকমারি দোকান বসেছে। মেলায় রয়েছে বেশ কিছু মিষ্টির দোকানও। সেখানেই জিলিপি গজার সঙ্গে বিক্রি হচ্ছে এইসব পেল্লাই সাইজের রসগোল্লা। তবে দাম বাসিন্দাদের সাধ্যের মধ্যেই। এক কেজি ওজনের রসগোল্লার দাম ১২০ টাকা।
আরও পড়ুন- মাত্র ১৫ দিনে দু’বার অবস্থান বদল! কারা কারা প্রভাবিত হবেন শনির গোচরে?
উদ্যোক্তারা বলছেন, করোনার আবহে দু'বছর শ্রীখন্ড গ্রামের এই মেলা বন্ধ ছিল। তাই এবার প্রচুর ভক্তের সমাগম হয়েছে। তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে এই মিষ্টির চাহিদা। বিক্রেতারাও বলছেন,বড় রসগোল্লার চাহিদা ব্যাপক। একসঙ্গে অনেক ছানা লোহার খাঁচার ছাঁচে ঠেসে ভরে দেওয়া দিয়ে সেই খাঁচা রস ভর্তি কড়াইয়ে ডুবিয়ে এই রসগোল্লা তৈরি করা হয়। শীতকাল হওয়ায় এই বড় রসগোল্লা দীর্ঘক্ষণ ভাল থাকে। অনেকে মেলায় দাঁড়িয়ে সেই রসগোল্লা স্বাদ নিচ্ছেন। আবার অনেকে পরিবারের জন্য রসগোল্লা কিনে বাড়ি ফিরছেন।