ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার। ওই দিন বালি তুলতে তুলতে প্রথমে একটি শিবলিঙ্গ দেখতে পান স্থানীয়রা । পরে আরও ৯টি শিবলিঙ্গ উদ্দার হয় । খবর জানাজানি হতেই এলাকার মানুষজন ভিড় জমাতে থাকেন। এলাকাবাসীরা জানান, এই রকম শিবলিঙ্গ আগে কখনও ওই এলাকায় দেখা যায়নি। ‘মহামারী থেকে রক্ষা করতে স্বয়ং মহাদেব দেখা দিয়েছেন’, এমন কাহিনীও ঝড়ের গতিতে লোকমুখে ছড়িয়ে পড়ে । এলাকায় শুরু হয়ে যায় পুজোআচ্চা ।
advertisement
এ বিষয়ে ইতিহাসবিদ তথা বিশিষ্ট লেখক সুশীল ভট্টাচার্য্য জানিয়েছেন, এই এলাকাটি একসময় রাঢ়বঙ্গের রাজা ইছাই ঘোষের অধিকৃত ছিল। মূর্তি গুলির গঠনগত বৈশিষ্ট্য দেখে তেমনই মনে হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, সম্ভবত সেই সময় শিবলিঙ্গ উদ্ধার হওয়া জায়গাটিতে কোনও গ্রাম ছিল। কিন্তু অজয় নদী নিজের পথ পরিবর্তন করায়, সেই গ্রাম এবং মন্দিরগুলি নদীগর্ভে চলে গিয়েছে। দীর্ঘদিন পর বালি খুঁড়তে গিয়ে উদ্ধার হয়েছে এই শিবমূর্তি গুলি।