কাটোয়ার দুর্ঘটনার পর তৎপরতা বাড়িয়েছে পুলিশ। জেলা জুড়েই পরিবহণের সঙ্গে যুক্ত গাড়িগুলি পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, '' চলাচলে অনুপযুক্ত গাড়িগুলিকে আলাদা করা গেলে দুর্ঘটনার ঝুঁকি অনেকটাই কমানো সম্ভব হবে। সেই লক্ষ্যেই অভিযান চালানো হচ্ছে। '' মেমারি থেকে জামালপুর-সহ বিভিন্ন রুটে বাসের সংখ্যা খুবই কম। এই সব রুটে যাতায়াতের জন্য ট্রেকারই অন্যতম ভরসা। এর ফলে গাদাগাদি করে অনেককে প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হয়। ধারণ ক্ষমতার অনেক বেশি যাত্রী নিয়ে যাতায়াত করে ট্রেকারগুলি। অনেকে ভিতরে জায়গা না পেয়ে ছাদে উঠে বসে। পাদানিতে দাঁড়িয়ে যাতায়াত করতে হয় অনেককে। ট্রেকার উলটে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে সবসময়ই। সেই দুর্ঘটনায় এড়াতেই এদিন জামালপুরে অভিযান চালায় পুলিশ। কয়েকটি ট্রেকারের ছাদে ওটার সিঁড়ি কেটে দেওয়া হয়।
advertisement
জেলার বাসিন্দারা বলছেন, এর আগেও বাসের ছাদে ওঠার সিড়ি কেটে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু দেখা গিয়েছে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ বা পরিবহণ দফতরের নজরদারি কমে যায়, তখন আবার বাসে ছাদে ওঠার সিঁড়ি তৈরি হয়ে যায়। এই নজরদারি যখন বাড়ে তখন দেখা যায় শহরে ঢোকার সময় পুলিশের চোখকে ফাঁকি দিতে বাসের ছাদের যাত্রীদের ভিতরে ঢুকিয়ে নেওয়া হয়। বাসকর্মী ও চালকরা বলছেন, যাত্রীদের চাপেই বাসের ছাদে যাত্রী তুলতে হয়। অনেক সময় বাসের ছাদে বিভিন্ন পণ্য সামগ্রী তুলতে সিঁড়ি রাখতে হয়। অনেক যাত্রী আপত্তি সত্বেও বাসের ছাদে উঠে পড়ে। তাই এ'ব্যাপারে যাত্রীদেরও সচেতন হওয়া জরুরি।