বাঁকুড়ার বড়জোড়া ব্লকের ঘুটগেড়িয়া গ্রামে বাপ ঠাকুর্দার আমল থেকে অর্থাৎ দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা কাঁটা বানানোর কাজ এখন বন্ধের মুখে। এই গ্রামে ছয় থেকে সাত জন ব্যবসায়ী রয়েছেন এবং তাদের কাছে ওই গ্রামের কারিগর সহ আশাপাশি বেশ কিছু গ্রাম থেকেও কারিগররা এসে কাজ করতেন এবং রুজি রোজগার করতেন। তবে হঠাৎ নেমে এল অন্ধকার। নিমেষেই চলে গেল তাদের কাজ।
advertisement
বাঁকুড়ার এই গ্রামে বিভিন্ন রকমের বড়শির কাঁটা তৈরি হয়। ছোট থেকে বড় ও বিদেশি কাঁটাও এখানে তৈরি হত তবে দেশি কাঁটা তৈরি হলেও বিদেশি কাঁটা বানানোর কাজ একেবারে বন্ধ রয়েছে। এখানে কারখানা রয়েছে কিন্তু কাজ নেই, লাক লাক টাকার মেশিন রয়ে গেছে কিন্তু কারিগর নেই। তবে বাপ ঠাকুর্দার আমল থেকে চলে আসা ব্যবসাকে টিকিয়ে রাখার জন্য স্বপন হালদার ও পরিমল কুম্ভকারের মত ব্যবসায়ীরা কোনওরকম ভাবে কাজ করছেন।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
কত আশা নিয়ে মেশিনপত্র কিনেছিলেন পরিমল কুম্ভকারের মত ব্যবসায়ীরা। বহু কারিগর কাজ করত এই ছোট্ট কারখানাতে। হঠাৎ করোনা ভাইরাস ও লকডাউনে সব কেড়ে নিল তাদের কাছ থেকে। তবে হার মানেননি এখানকার ব্যবসায়ীরা। এখনও আশায় দিন গুণছেন যে কবে আগের মত সচ্ছল হবে তাদের এই বড়শির কাঁটা বানানোর ব্যবসা! তাই এখনও পর্যন্ত কিছু কিছু করে কাঁটা বানানোর কাজ জারি রেখেছেন, তবে বিদেশি কাঁটার চাহিদা না থাকাই বন্ধ রয়েছে বিদেশি কাঁটা বানানোর কাজ।
অনিকেত বাউরী