বৃদ্ধাশ্রমে পৌঁছে গণেশবাবু একেবারেই অতিথির মতো আচরণ করেননি। বরং সেখানকার বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের সঙ্গে বসে গল্প, আড্ডা, হাসি-মজা করে পুরো সময় কাটিয়েছেন। জন্মদিনের কেক কাটার সময়ও তাঁদের পাশে চান গণেশবাবু। কেক কেটে ভাগ করে খাওয়ানোর পর তিনি প্রত্যেক আবাসিককে নিজ হাতে মধ্যাহ্নভোজ করান। এরপর শীতের কথা ভেবে প্রত্যেকের হাতে তুলে দেন শীতবস্ত্র। হঠাৎ পাওয়া এই ভালবাসায় বৃদ্ধাশ্রমের মানুষজনেরা খুবই খুশি।
advertisement
বৃদ্ধ-বৃদ্ধারা বলেন, আজ ওনার জন্মদিনে উনি নিজে আমাদের কাছে এসেছেন। এটাই আমাদের কাছে বড় উপহার। উনি আমাদের সঙ্গে সময় কাটিয়েছেন, খুব ভাললেগেছে। জেলা পরিষদের সভাধিপতি অনুসূয়া রায় বলেন, এখানে এসে এমন আনন্দ পেলাম, ভাষায় বোঝাতে পারব না। জীবনের ব্যস্ততায় আমরা সমাজের এক গুরুত্বপূর্ণ অংশ, এই মানুষদের কথা ভুলে যাই। আজ আসতে পেরে মনে হচ্ছে অনেক কিছু পাওয়া হয়ে গেল। ভবিষ্যতে তাঁদের পাশে আরও থাকতে চাই।
অন্যদিকে গণেশবাবু জানান, কিছুদিন আগে রামসাগর দিয়ে যাওয়ার সময় এই বৃদ্ধাশ্রমটি দেখেছিলেন। তখনই মনে মনে সিদ্ধান্ত নেন এখানেই জন্মদিন পালন করবেন। তিনি বলেন, এনারা সংসার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে একাকীত্বে দিন কাটান। আজ তাঁদের মুখে একটু হাসি ফুটিয়ে দিতে পারাটাই আমার জন্মদিনের সবচেয়ে বড় আনন্দ। সারাদিন তাঁদের সঙ্গে কবিতা, আবৃত্তি করেছি, গল্প করেছি। নিজের হাতে খাবার খাইয়েছি। সত্যিই দিনটি আমার জীবনের অন্যতম সেরা দিন। তিনি আরও বলেন, যতদিন বাঁচব এনাদের পাশে থাকতে চাই। মনে হচ্ছে, প্রতি বছর এখানেই আমার জন্মদিন পালন করব।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
জন্মদিন মানে নিজের জন্য আনন্দ খোঁজা। কিন্তু গণেশবাবু দেখিয়ে দিলেন, আনন্দ তখনই পূর্ণ হয় যখন তা অন্যের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়া যায়। এই জন্মদিনে তিনি আবারও প্রমাণ করলেন, মানুষের পাশে থাকাই প্রকৃত মানবতা।





