কার্তিক পুজোর আবহে বাঁকুড়ার সোনামুখীতে দারুণ দৃশ্য। মোট ২৩টি লাইসেন্স প্রাপ্ত বড় কার্তিক পুজো ছাড়া গোটা সোনামুখী শহর জুড়ে প্রতি বছর প্রায় ১০০-১১০টি কার্তিক পুজো হয়। অন্যান্য পুজোর পাশাপাশি সোনামুখীর কার্তিক পুজো এই অঞ্চলের মানুষের কাছে বিশেষ আকর্ষণ। এই বছর তাই আনন্দে ভাসলেন সাধারণ মানুষ।
advertisement
কালী, কার্তিকের শহর হিসেবে পরিচিত বাঁকুড়া জেলার প্রাচীন পুর শহর সোনামুখী। কালীপুজোর পর এবার কার্তিক পুজোকে কেন্দ্র করে জমজমাট আকার ধারণ করেছে গোটা শহর। সোনামুখীতে সরকার অনুমোদিত মোট কার্তিক পুজোর সংখ্যা ২৩টি। তবে পুজো হয় আরও বেশি।
সোনামুখী পুর শহরের প্রাচীন কার্তিক পুজোগুলির মধ্যে অন্যতম মাইত কার্তিক বা মধ্যম কার্তিক, বড় কার্তিক, মহিষগোঠ কার্তিক, ঘুরনি কার্তিক, নীল বাড়ি কার্তিক, লালবাজার কার্তিক। মাইত কার্তিক পুজো কমিটির এই বছরের বড় চমক কেরালার ব্যান্ড। সুদূর কেরালা থেকে ব্যান্ড আসবে। প্রায় ৪০০ বছরের প্রাচীন এই পুজো।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
দক্ষিণবঙ্গের একটি সুপ্রাচীন জনপদ সোনামুখী, যা কালী এবং কার্তিকের শহর নামে পরিচিত। আজ থেকে প্রায় ৪২০ বছর আগে এই শহর ছিল ঝোপঝাড়ে ভরা, শহরের অলিগলিতে সেইভাবে জনমানবের বসবাস শুরু হয়নি। আজকের জনপদ সেই সময় প্রায় জনশূন্য হলেও কার্তিক পুজোর একটি সুপ্রাচীন ইতিহাস বহন করে নিয়ে চলত। এই ব্যস্ত শহরেই, শহুরে জীবনের পাশেই লুকিয়ে রয়েছে সেই ইতিহাস।





