গত মাসের ২৪ তারিখ দুপুর ২টা ৩০ মিনিটেরকরুণাময়ী থেকে বাঁকুড়াগামি বাস টায়ার ফেটে বিকল হয়ে পড়ে দুর্গাপুরে। বাসে কিছু সমস্যা থাকায় কলকাতা থেকেই ধীরে চলছিস বাসটি। রাত্রি ১০ টায় বাঁকুড়া ঢোকার কথা থাকলেও রাত ১২ টায় বাঁকুড়া বাস ডিপোতে পৌঁছায় দুপুর আড়াইটার বাস। চরম হয়রানির শিকার হয় যাত্রীরা। চলতি সপ্তাহতেও পর পর দুদিন একই সমস্যা। বুধবার বাঁকুড়া থেকে করুণাময়ী যাওয়ার ভোর ৫টা ৪০ এর বাস বিকল হয়ে পড়ে জওগ্রামের কাছে। ছবি তুলতে গেলেও চোখ রাঙান এসবিএসটিসি বাস আধিকেরা।
advertisement
বাঁকুড়া কলকাতার রুটের দূরত্ব ২১১ কিলোমিটার। গড়ে ৩৫ কিলোমিটার বেগে ছুটলেও সময় লাগার কথা ৬ ঘণ্টা। সেখানে যাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছতে অপেক্ষা করতে হয় ১১ ঘণ্টারও কিছু বেশি। যদিও এর কোনো সদুত্তর দিতে নারাজ বাঁকুড়া বাস ডিপো। কি সমস্যা ? কেন বার বার হেনস্থা হতে হচ্ছে বাঁকুড়া করুণাময়ী রুটের এসবিএসটিসি বাস যাত্রীদের। প্রশ্ন করলে বাস ডিপোর কর্তাদের নেই কোনও সদুত্তর। বাসের ওয়্যারহাউসে দূর থেকে দেখা যায় কয়েকটি জংধরা বাস পর্চর্যার অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে। নাম বলতে অনিচ্ছুক একাধিক বাস আধিকারিক জানান, এক্তিয়ারের বাইরে গিয়ে যে কোনো প্রশ্নের উত্তর তাঁরা দিতে পারবেন না।
আরও পড়ুনঃ এবার ফিফার বর্ষসেরা হওয়ার লড়াইয়ে মেসি-এমবাপে, তালিকায় জায়গাই হল না রোনাল্ডোর
ভাড়া দিতে রাজি কিন্তু চাই যথার্থ পরিষেবা। এমনটাই সুর যাত্রীদে। শোভন গোস্বামী নামে এক যাত্রী বলেন,"বাসের ভাড়া দিতে আমরা রাজি, কিন্তু দায়িত্ব নিয়ে সময় মত গন্তব্যে না পৌঁছে দিতে পারলে কে দেবে কৈফিয়ত?" ১২ ঘণ্টা অপেক্ষা করার পর বাঁকুড়া পৌঁছে আরেক যাত্রী পূর্ণেন্দু মন্ডল বিরক্তি প্রকাশ করে বলেন," অত্যন্ত দুঃখজনক অভিজ্ঞতা, পরিবার নিয়ে বাজে ভাবে হ্যানস্থা হলাম"। এই কি শেষ ? নাকি আগামী দিনেও হতে পারে এমন যান্ত্রিক গোলযোগ। থেকে যাচ্ছে প্রশ্ন। তবে আপাতত ভগবানের ভরসাতেই বাঁকুড়া এসবিএসটিসি।