সোমবার রাতে স্থানীয় স্কুলের রজত জয়ন্তী উৎসবের অনুষ্ঠান দেখে বাড়ি ফেরার পথে অজানা গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছিল স্থানীয় যুবকের। ২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে যাওয়ার পরেও ঘাতক গাড়িটিকে চিহ্নিত করতে পারেনি পুলিশ। এই ঘটনার প্রতিবাদে ও মৃতের পরিবারকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবিতে বুধবার রাতে রাস্তায় মৃতদেহ রেখে গভীর রাত পর্যন্ত পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
advertisement
গত মঙ্গলবার রাতে স্থানীয় বক্সি সাধু রামচাঁদ মুর্মু স্মৃতি বিদ্যাপীঠের রজত জয়ন্তী উৎসবের অনুষ্ঠান দেখে সাইলেকে চড়ে বন্ধুর সঙ্গে নিজের বাড়িতে ফিরছিলেন পেশায় পরিযায়ী শ্রমিক জয়ন্ত পাত্র। সেই সময় বক্সি বাজারের অদূরে দাসবাঁধ এলাকায় একটি মারুতি গাড়ির সঙ্গে ধাক্কা হলে ঘটনাস্থলে ছিটকে পড়েন জয়ন্ত ও তাঁর বন্ধু কাঞ্চন লোহার। কাঞ্চন লোহার আশঙ্কাজনক অবস্থায় আপাতত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকলেও দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় জয়ন্তর।
গতকাল বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে জয়ন্তর দেহের ময়নাতদন্ত হয়। এরপর রাতে তাঁর দেহ বক্সি এলাকায় ফিরতেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। দুর্ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পরেও কেন ঘাতক গাড়িটিকে চিহ্নিত করা গেল না সেই প্রশ্ন তুলে ফুলকুশমা থেকে বিনপুর যাওয়ার রাস্তায় মৃতদেহ নামিয়ে অবরোধ শুরু করেন স্থানীয় উত্তেজিত জনতা। একইসঙ্গে মৃতের পরিবারকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়ারও দাবি তোলা হয়।
অবরোধের খবর পেয়ে বক্সি ফাঁড়ির পুলিশ অবরোধ তুলতে গেলে পুলিশকে ঘিরেও বিক্ষোভে ফেটে পড়েন অবরোধকারীরা। রাত প্রায় ১১টা পর্যন্ত অবরোধ চলার পর অবশেষে বক্সি ফাঁড়ির পুলিশ আগামী ৩ দিনের মধ্যে ঘাতক গাড়িটিকে চিহ্নিত করে আটক করা ও মৃতের পরিবারকে ক্ষতিপূরণের আশ্বাস দিলে অবরোধ ওঠে। স্থানীয়দের দাবি, পুলিশ আশ্বাস পূরণ না করলে ফের তাঁরা একই দাবিতে পথে নামবেন।
