বাঁকুড়ার ওন্দা ব্লকের প্রত্যন্ত গ্রাম রামসাগর এই এলাকা জুড়ে চাষ হচ্ছে মাছের ডিম এবং তিন থেকে চার দিন বয়সী মাছের চারা, পাড়ি দিচ্ছে ভারতবর্ষের বিভিন্ন প্রান্তে! সরোজদের মত এলাকায় বেশ কিছু মাছের ডিম চাষি রয়েছে। তারা বিভিন্ন রকম মাছ সংগ্রহ করে নিজেদের পুকুরে ছাড়েন এবং সেই মাছকে পুকুর থেকে বিডিং পুলে রেখে ডিম তৈরি করেন সেখান থেকে মাছের ডিমগুলি সংগ্রহ করে রাখা হয় ফার্মে। তিন থেকে চার দিন মাছের চারার বয়স হলে সেটিকে রফতানি করা হয়।
advertisement
আরও পড়ুন: সোনা, রুপো, ব্রোঞ্জ! ৪৫ এ ২৮, অস্মিতা খেলো ইন্ডিয়ায় অভূতপূর্ব সাফল্য ঝাড়গ্রামের মেয়েদের, জানুন
বাঁকুড়ার ওন্দা ব্লকের সরোজ দে নামের এক মাছ চাষি বলেন, ৫০ থেকে ৬০ বিঘা জায়গার মধ্যে আট থেকে ন’টি পুকুরে রুই, কাতলা, মৃগেল, সিলভার, বাটা সহ বিভিন্ন ধরনের মাছ ছেড়ে রাখেন। সেখান থেকে মাছগুলি তারা সংগ্রহ করেন এবং তাদেরই নির্দিষ্ট একটি ব্রিডিং পুল রয়েছে সেখানে মাছগুলিকে ইঞ্জেকশন দিয়ে রাখা হয়। পরের দিন সকালেই সেখান থেকে মাছের ডিম তারা সংগ্রহ করেন এবং সেই ডিম তাদের ফার্মে রাখেন। এরপর তিন থেকে চারদিন বয়সী মাছের চারা সরবরাহ করেন তারা।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
সরোজ দের দাবি, পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে সবথেকে বড় মাছ চাষ ও এই মাছের ডিম চাষের জায়গা এই রামসাগর। এখান থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে মাছের চারা পাড়ি দেয়। বাপ ঠাকুর্দার আমল থেকে এই ব্যবসা তাদের চলে আসছে। আগের তুলনায় এখন চাহিদা তুঙ্গে রয়েছে এই মাছের ডিম বা মাছের চারার!