এরপরেই জোট বেঁধে গ্রামের মানুষেরা পঞ্চায়েত প্রধানের কাছে হাজির হন। সবার একই দাবি, যেভাবেই হোক তাঁদের প্রিয় কালুকে ফিরিয়ে আনতে হবে। শেষমেষ প্রধানের হস্তক্ষেপে কালুকে বর্ধমানের একটি হাট থেকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। এতেই খুশি ওই গ্রামের বাসিন্দারা। বাঁকুড়া জেলার সোনামুখীর মানিকবাজার গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত কৃষ্ণবাটি এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে।
আরও পড়ুনঃ স্ত্রীকে খুন করে দিদিকে প্রণাম! তারপর থানায় গিয়ে…! হাড়হিম করা ঘটনা উত্তরপাড়ায়
advertisement
বলে রাখি, এতক্ষণ যে কালুর কথা হচ্ছিল, সকলের প্রিয় সেই কালু একটি ষাঁড়। পাত্রসায়েরের বীরসিং থেকে শুরু করে সোনামুখীর মানিকবাজার পঞ্চায়েত এলাকায় দিনরাত ঘুরে বেড়াত সে। এই গ্রামের বাসিন্দারাও তাঁকে শিবের বাহন হিসেবে ঠাকুরের ষাঁড় বলে মানত। অভিযোগ, কিছুদিন আগে কৃষ্ণবাটি গ্রাম থেকে কালুকে একটি লরিতে উঠিয়ে নিয়ে যেতে দেখেন স্থানীয় কিছু যুবক। তাঁরা প্রতিবাদও করেন। কিন্তু সেই প্রতিবাদ অগ্রাহ্য করে গরু ব্যবসায়ীরা কালুকে নিয়ে চলে যান। এরপর গ্রামবাসীরা দল বেঁধে এর বিহিত চেয়ে প্রধানের দ্বারস্থ হন।
গ্রামবাসীদের একাংশ বলেন, ঠাকুরের ষাঁড় ভেবে কালুকে আমরা দীর্ঘদিন ধরে যত্ন করে খাবার দিয়ে এসেছি। কিন্তু বেশ কিছুদিন ধরে কালুর অস্বাভাবিক আচরণ চোখে পড়ে। মানুষজনকে তেড়ে মারতে আসছিল, কালুর গুঁতোয় ইতিমধ্যে কয়েকজন আহত হয়েছে। এছাড়াও জমির ফসল নষ্ট করছিল।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
সেই কারণে গ্রামবাসীরা কালুকে বিক্রি করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। তবে এই নিয়ে আপত্তি ওঠায় বর্ধমানের একটি হাট থেকে কালুকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। বর্তমানে মানিকবাজার পঞ্চায়েতের প্রধান প্রদীপ মালের হেফাজতে রয়েছে কালু।