ট্রাফিক পুলিশ দ্রুত অসুস্থ ষাঁড়টির সামনে সামনে ব্যারিয়ার বসিয়ে নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। পুরো ঘটনাটি নিজের হাতে নেন ট্রাফিক ওসি গৌতম সেন। তিনি একদিকে ব্যস্ত সড়কে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করছেন, অন্যদিকে অসুস্থ প্রাণীটির পাশে দাঁড়িয়ে তার সেবা–শুশ্রূষার ব্যবস্থা করছেন। অতিরিক্ত পুলিশও মোতায়েন করা হয়, যাতে যান চলাচলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয়।

আরও পড়ুন: কালো, নোংরা নর্দমায় দিনরাত চলে খোঁজ, হাঁটু জলে নেমে হয় রান্নার জোগাড়! শিল্পতালুকে কঠিন জীবন সংগ্রাম

advertisement

এই সময় ঘটনাস্থলে থাকা স্থানীয় বাসিন্দা দিব্যেন্দু রায় বলেন, “সকাল থেকেই গরুটি অসুস্থ! ট্রাফিক পুলিশের মানবিক দিকটা দেখেই যথেষ্ট আনন্দ পেয়েছি আমরা। স্থানীয় ব্যক্তিরাও সবাই ঝাঁপিয়ে পড়েছেন গরুটাকে সুস্থ করতে। আপাতত সুস্থ রয়েছে সে।” তাঁর কথাতেই স্পষ্ট, এলাকায় কীভাবে সবাই একযোগে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। স্থানীয় যুবকরাও এগিয়ে এসে গরুটিকে খাওয়ানোর ব্যবস্থা করে। তাকে দেওয়া হয় গরম সেঁক , পাউরুটি এবং জল। যাতে দুর্বলতা কিছুটা কাটে।

advertisement

View More

আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন

এরপর খবর যায় পশু চিকিৎসালয়ে, এবং দ্রুত এক চিকিৎসক পুলিশ ভ্যানেই ঘটনাস্থলে পৌঁছন। পরীক্ষা করে জানান, ষাঁড়টি ঠান্ডাজনিত দুর্বলতায় ভুগছে, তবে আশঙ্কার কিছু নেই। প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাকে রাস্তার ধারে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে রাখা হয়। দৈনন্দিন ব্যস্ততার মাঝেও বাঁকুড়া ট্রাফিক পুলিশ ও সাধারণ মানুষের একযোগে উদ্যোগ দেখিয়ে দিল, মানবিকতা এখনও সমাজের সবচেয়ে বড় শক্তি।

advertisement