গতবারে বৃষ্টিটা একটু কম হয়েছিল বলে লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছিল বেশ কিছুটা কম। তবে অতি বৃষ্টির কারণে সেই লক্ষ্যমাত্রা ইতিমধ্যেই হয়েছে অতিক্রম।
২০২৪ সালে ৩ লক্ষ ৪৬ হাজার হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ হয়েছিল। বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কম থাকায় লক্ষ্যমাত্রা কম রাখা হয়েছিল। তবে গতবারের চেয়ে এবার জেলায় প্রায় ৪০হাজার হেক্টর বেশি জমিতে ধান চাষ হয়েছে। ২০২৫ সালে বাঁকুড়া জেলার ৩ লক্ষ ৩৬ হাজার ১০০ হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছিল।
advertisement
ইতিমধ্যেই যা লক্ষ্যমাত্রার ১০৭শতাংশ পার হয়েছে বলে কৃষি দফতরের আধিকারিকরা জানিয়েছেন।
বৃষ্টির ঘাটতি ছিল না এবার। যার জেরে জেলায় আমনের বীজতলা তৈরির কাজ খুব ভালভাবে সম্পন্ন হয়। চারা রোপন হয়। সেই কারণেই লক্ষ্যমাত্রা পার হয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষি দফতরের আধিকারিকেরা। সারের অভাব নেই! তবে \”ডাঙা\” জমি অর্থাৎ উঁচু জমিগুলিতে, জলের একটু সমস্যা হলেও হতে পারে সেক্ষেত্রে সেচ ব্যবস্থার সাহায্য নিতে হবে।
আরও পড়ুন: Heavy Rainfall Alert: পুজোর আগে ব্যাপক বৃষ্টিপাত! রক্ষা নেই, ঝড়জলের তুলকালামে মাটি উৎসবের আনন্দ!
কৃষক মহলেও দেখা গেছে একটি প্রশান্তির ছবি। প্রতিবারের মত ধান চাষ নিয়ে আর বেগ পেতে হয়নি।
পর্যাপ্ত জল পেয়ে, জমি ব্যতীত পুকুর পাড়েও ধান লাগান হয়েছে। তবে শেষ এক সপ্তাহ বাঁকুড়ায় সেভাবে বৃষ্টিপাত না হলেও আকাশ আবার কাল হচ্ছে ধীরে ধীরে। তাই আশায় বুক বাঁধছেন সকলে। কাদা জমিতে কীটনাশক দিলে ভাল কাজ হয় বলেই জানিয়েছেন কৃষি দফতরের আধিকারিকেরা।