প্রান্তিক বাঁকুড়ায় জীবন জীবিকা একটু অন্যরকম। মানুষের কাছে জীবিকার কোনও আধার এলে, মন প্রাণ দিয়ে সেই কাজ করেন তারা। কচুরিপানা এক প্রকার বিনামূল্যে পাওয়া যায়। এই কচুরিপানা থেকে যদি কোনও উপার্জন আসে, তাহলে সেটা হবে “জিরো ইনভেস্টমেন্ট বিজনেস”। তেমনই এক ছবি ধরা পড়ল বাঁকুড়ায়। খোদ আবর্জনা হিসেবে গণ্য করা কচুরিপানাই এখন উপার্জনের দিশা দেখাচ্ছে বাঁকুড়ার প্রত্যন্ত গ্রামে।

advertisement

আরও পড়ুন : বন্ধ করেছে নিজের বিয়ে, ১৬ বছরের কাশ্মীরা পেয়েছে ‘বীরাঙ্গনা’ পুরস্কার! মৌসুনির মেয়ের লক্ষ্য পুলিশের উর্দি

ওই গ্রামের দিপালী মুর্ম্মু সরলা, মুর্ম্মুরা বলেন, একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার তরফে আমাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল। প্রশিক্ষণ শেষে সাঁওতাল পাড়ার ২৫ জন মহিলা কচুরিপানা সংগ্রহের পর দীর্ঘ প্রক্রিয়ার পর তা থেকে বিভিন্ন ধরণের ব্যাগ সহ অন্যান্য জিনিসপত্র তৈরি করছেন। সেই ব্যাগ এখান থেকে বিক্রি হওয়ার ফলে বাড়তি কিছু রোজগার হচ্ছে বলে তারা জানান।

advertisement

View More

আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন

সংশ্লিষ্ট স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর সুজিত ঘোড়ুই বলেন, স্থানীয়ভাবেই কচুরিপানা সংগ্রহ করা হচ্ছে। ঋতুভেদে তিন থেকে সাত দিন রোদে শুকোনোর পর সেই কচুরিপানা কাজের উপযুক্ত হয়। আপাতত ২৫ জন মহিলাকে এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। তাঁরা প্রত্যেকেই ভাল কাজ করছেন। প্রতিটি মহিলা যাতে অন্তত ৮ হাজার টাকা রোজগার করতে পারেন, সেই লক্ষ্য নিয়ে তারা এগিয়ে যাচ্ছেন বলে তিনি জানান।

advertisement