বাঁকুড়া শহরের ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের নন্দী খাল পাড় এলাকা অপেক্ষাকৃত নীচু। এই এলাকার বহু পুরনো একটি নিকাশি নালা দিয়ে বাঁকুড়া শহরের বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডের জল বয়ে যেত দ্বারকেশ্বর নদের দিকে। এলাকার জলও ওই নিকাশি নালা দিয়েই বয়ে যেত নদের দিকে। কিন্তু একদিকে সেই নিকাশি নালার সংস্কার, সাফাইয়ের অভাব আর অন্যদিকে রেলের নির্মীয়মান আন্ডারপাস তৈরি করতে গিয়ে নিকাশি নালার একাংশ ভেঙে ফেলা – এই দুয়ের কারণে পরিস্থিতি জটিল হয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন : একটা প্রতিমা শুকনো করতেই শেষ পুরো সিলিন্ডার, কাঁচামালের দাম আকাশছোঁয়া! শিল্পীদের ঘুম নেই
শুধু এলাকার জলই নয়, আশপাশের ওয়ার্ডগুলি থেকে বয়ে আসা জলও জমতে শুরু করে ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের নন্দী খাল পাড় এলাকায়। এলাকায় জমে যাওয়া সেই জল নিকাশের ব্যবস্থা না থাকায়, প্রায় ২ মাস ধরে ওই এলাকার রাস্তাঘাট কার্যত এক হাঁটু জলে ডুবে রয়েছে। সম্প্রতি নিম্নচাপের বৃষ্টিতে জমে থাকা জলের উচ্চতা আরও কিছুটা বৃদ্ধি পাওয়ায়, এবার সেই জল ঢুকতে শুরু করেছে স্থানীয় বাড়িগুলিতেও।
আরও পড়ুন : হারানো ছেলেবেলা! থিমে খেলার দুনিয়া সাজিয়ে দর্শকদের চমক দেবে দুর্গাপুরের ‘এই’ পুজো কমিটি
পরিস্থিতি এমনই যে গত দু’মাস ধরে এলাকাবাসীদের বাড়িতে যেমন আত্মীয়রা যাতায়াত বন্ধ করে দিয়েছেন। তেমনই সবজি ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে দুধ বিক্রেতা, ফলের হকার এমনকি রান্নার গ্যস সরবরাহের কর্মীরাও কার্যত এড়িয়ে চলছেন ওই এলাকা। ফলে জমা জল ধীরে ধীরে গোটা নন্দী খাল পাড়কে পরিণত করে তুলেছে শহরের মাঝে থাকা একটি বিচ্ছিন্ন দ্বীপের মতো। মাসের পর মাস জমে থাকা জলে মাছি ও মশা বাহিত বিভিন্ন অসুখ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় কার্যত কাঁটা হয়ে রয়েছেন স্থানীয় প্রায় ৪০ টি পরিবার।
আরও পড়ুন : এতদিন ছিল শুধু দেখার জিনিস, এবার খুলছে দরজা! ব্যবহার করবেন আপনিও!
স্থানীয়দের দাবি, বিষয়টি নিয়ে বারবার দরবার করা হয়েছে পুরসভার কাছে। কিন্তু জল নিকাশের ব্যপারে কোনও উদ্যোগই চোখে পড়েনি। পুরসভা অবশ্য বিষয়টি জানা নেই বলে জানিয়ে এর সমস্ত দায় চাপিয়েছে রেলের কাঁধে। অন্যদিকে বিজেপির দাবি পুরসভার গাফিলাতির কারণেই এলাকার মানুষকে এই দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। রাজনৈতিক কচকচানি মুছে জল যন্ত্রণা থেকে কবে মুক্তি মিলবে, আপাতত সেদিকেই তাকিয়ে এলাকার সাধারণ মানুষজন।