TRENDING:

দু'মাস ধরে কোনও আত্মীয়ের দেখা নেই! এড়িয়ে চলেন সবজি, দুধ বিক্রেতারা! কেন? আসল সত্যিটা জানুন

Last Updated:

জমে থাকা জলে মাছি ও মশা বাহিত বিভিন্ন অসুখ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় স্থানীয় প্রায় ৪০ টি পরিবার।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
বাঁকুড়া, প্রিয়ব্রত গোস্বামী:  রেল ও পুরসভার টানাপোড়েনে দীর্ঘদিন ধরে থমকে এলাকার নিকাশি ব্যবস্থা। আর তার ফলে প্রায় ২ মাস ধরে এক হাঁটু জলে ডুবে রয়েছে গোটা এলাকা। হাঁটু জল ডিঙিয়ে রাস্তা দিয়ে পারাপার কার্যত অসম্ভব। দুর্ভোগ বাড়িয়েছে সাম্প্রতিক নিম্নচাপের লাগাতার বৃষ্টি। বাঁকুড়া শহরের ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের নন্দী খাল পাড়ের বাসিন্দাদের জল যন্ত্রণা যেন নিত্যসঙ্গী।
জলমগ্ন এলাকা। (প্রতিকী ছবি)
জলমগ্ন এলাকা। (প্রতিকী ছবি)
advertisement

বাঁকুড়া শহরের ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের নন্দী খাল পাড় এলাকা অপেক্ষাকৃত নীচু। এই এলাকার বহু পুরনো একটি নিকাশি নালা দিয়ে বাঁকুড়া শহরের বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডের জল বয়ে যেত দ্বারকেশ্বর নদের দিকে। এলাকার জলও ওই নিকাশি নালা দিয়েই বয়ে যেত নদের দিকে। কিন্তু একদিকে সেই নিকাশি নালার সংস্কার, সাফাইয়ের অভাব আর অন্যদিকে রেলের নির্মীয়মান আন্ডারপাস তৈরি করতে গিয়ে নিকাশি নালার একাংশ ভেঙে ফেলা –  এই দুয়ের কারণে পরিস্থিতি জটিল হয়েছে।

advertisement

আরও পড়ুন : একটা প্রতিমা শুকনো করতেই শেষ পুরো সিলিন্ডার, কাঁচামালের দাম আকাশছোঁয়া! শিল্পীদের ঘুম নেই

শুধু এলাকার জলই নয়, আশপাশের ওয়ার্ডগুলি থেকে বয়ে আসা জলও জমতে শুরু করে ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের নন্দী খাল পাড় এলাকায়। এলাকায় জমে যাওয়া সেই জল নিকাশের ব্যবস্থা না থাকায়, প্রায় ২ মাস ধরে ওই এলাকার রাস্তাঘাট কার্যত এক হাঁটু জলে ডুবে রয়েছে। সম্প্রতি নিম্নচাপের বৃষ্টিতে জমে থাকা জলের উচ্চতা আরও কিছুটা বৃদ্ধি পাওয়ায়, এবার সেই জল ঢুকতে শুরু করেছে স্থানীয় বাড়িগুলিতেও।

advertisement

আরও পড়ুন : হারানো ছেলেবেলা! থিমে খেলার দুনিয়া সাজিয়ে দর্শকদের চমক দেবে দুর্গাপুরের ‘এই’ পুজো কমিটি

পরিস্থিতি এমনই যে গত দু’মাস ধরে এলাকাবাসীদের বাড়িতে যেমন আত্মীয়রা যাতায়াত বন্ধ করে দিয়েছেন। তেমনই সবজি ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে দুধ বিক্রেতা, ফলের হকার এমনকি রান্নার গ্যস সরবরাহের কর্মীরাও কার্যত এড়িয়ে চলছেন ওই এলাকা।  ফলে জমা জল ধীরে ধীরে গোটা নন্দী খাল পাড়কে পরিণত করে তুলেছে শহরের মাঝে থাকা একটি বিচ্ছিন্ন দ্বীপের মতো। মাসের পর মাস জমে থাকা জলে মাছি ও মশা বাহিত বিভিন্ন অসুখ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় কার্যত কাঁটা হয়ে রয়েছেন স্থানীয় প্রায় ৪০ টি পরিবার।

advertisement

আরও পড়ুন : এতদিন ছিল শুধু দেখার জিনিস, এবার খুলছে দরজা! ব্যবহার করবেন আপনিও! 

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
'আসছে বছর আবার হবে'! দিঘার সমুদ্রে বিলীন দেবী দুর্গা, ঢেউয়ের গর্জনে মিশল বিদায়ের সুর
আরও দেখুন

স্থানীয়দের দাবি, বিষয়টি নিয়ে বারবার দরবার করা হয়েছে পুরসভার কাছে। কিন্তু জল নিকাশের ব্যপারে কোনও উদ্যোগই চোখে পড়েনি। পুরসভা অবশ্য বিষয়টি জানা নেই বলে জানিয়ে এর সমস্ত দায় চাপিয়েছে রেলের কাঁধে। অন্যদিকে বিজেপির দাবি পুরসভার গাফিলাতির কারণেই এলাকার মানুষকে এই দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। রাজনৈতিক কচকচানি মুছে জল যন্ত্রণা থেকে কবে মুক্তি মিলবে, আপাতত সেদিকেই তাকিয়ে এলাকার সাধারণ মানুষজন।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
দু'মাস ধরে কোনও আত্মীয়ের দেখা নেই! এড়িয়ে চলেন সবজি, দুধ বিক্রেতারা! কেন? আসল সত্যিটা জানুন
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল