ভয়ংকর সুন্দর একটা দৃশ্য। ভয়ংকর বলার একটা কারণ রয়েছে। জল ছাড়ার এই দৃশ্য যতই সুন্দর হোক না কেন, এই জল বয়ে চলবে নিম্ন অববাহিকাতে। গত তিনদিনের টানা বৃষ্টি, সে কারণে এবার জল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিল বাঁকুড়ার কংসাবতীর মুকুটমণিপুর জলাধার কর্তৃপক্ষ , নিম্ন অববাহিকায় বন্যার আশঙ্কা, তবে জল ছাড়া দেখতে পেয়ে খুশি পর্যটকেরা। গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টির কারণে এবার জল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিল বাঁকুড়ার কংসাবতীর মুকুটমণিপুর জলাধার কর্তৃপক্ষ।
advertisement
আরও পড়ুন: ঘুরে আসুন শুশুনিয়া পাহাড়ের লুকোনো গ্রাম! কেউ জানেই না এই স্বর্গ গ্রামের কথা! রইল ফোন নম্বর
সোমবার রাত ১২ টা নাগাদ কংসাবতী জলাধার থেকে নদী বক্ষে ৬০০০ কিউসেক জল ছাড়া হয়। বৃষ্টির পরিমাণদেখে দফায় দফায় জল ছাড়ার পরিমাণ বাড়ানহবে, এমনটাই দাবি কংসাবতী কর্তৃপক্ষের। কংসাবতী সেচ দফতরেরমুকুটমনিপুর জলাধারে জল ধারণ ক্ষমতা ৪৩৪ ফুট, এর মধ্যে দুই দিনের টানা বর্ষণে ৪২৫.৭৫ফুট ফুট উচ্চতায় জল ছিল জলাধারে।আগামী ২৪ ঘন্টায় আরও বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনার কথা মাথায় রেখে আগেভাগেই জল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কংসাবতী কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: প্রায় বিলুপ্তির পথে বাংলার ঐতিহ্য ‘বাঁকুড়া গামছা’, জানেন কেমন সেই গামছা? দেখে নিন
তবে এই জল ছাড়া হলে কংসাবতীর নিম্ন অববাহিকায় বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিতে পারে বলে বাসিন্দারা অনেকেই মনে করছেন। তবে মুকুটমণিপুরে ঘুরতে আসা পর্যটকেরা জল ছাড়ার মনোরম দৃশ্য চাক্ষুষ করতে পেরে খুশি। সোমবার সকাল থেকেই পর্যটকদের ভিড় জমেছে। ইতিমধ্যেই এলাকায় সতর্কতামূলক প্রচার চালাচ্ছে সেচ কর্তৃপক্ষ।
নীলাঞ্জন ব্যানার্জী