লাইফ ইন্সিওরেনস কর্পোরেশনে কর্মরত অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ অফিসার গৌতম মন্ডলের বাড়ির ছাদে রয়েছে এই চার সারমেয়র সমাধি। প্রতিদিন প্রদীপ জ্বালানো থেকে শুরু করে ফুল দেওয়া সবই করে থাকেন তিনি। এই ভালবাসা সচরাচর দেখা যায়না বর্তমান সমাজে। গৌতম বাবু জানান যে নিজের সন্তানের মত ভালোবাসতেন এই চার পোষ্যকে।
advertisement
‘ছেলের মতো’ করে বড় করেছিলেন…পোষ্য জার্মান শেফার্ড কুকুরের ‘শিকার’ বৃদ্ধা! রক্তে ভাসল ঘর
কুকুরের প্রতি ভালবাসা মন্ডল পরিবারের রক্ত মিশে রয়েছে। বাঁকুড়া শহরের সুকান্তপল্লীর বাসিন্দা গৌতম মন্ডল এবং শ্যামলী মন্ডল ভোর ৫ টা থেকেই পথকুকুরের সেবা শুরু করেন। গৌতমবাবুর অফিসের কাজ এবং শ্যামলীদেবীর ঘরের কাজ ছাড়াও তাঁদের বাড়িতে অবাধ বিচরণ রাস্তার অবলা পথকুকুরদের। এমনকি পথকুকুরদের খেতে দেন ড্রয়িংরুমে এবং বসতে দেন গেষ্টরুমে। এছাড়াও ভোর বেলা থেকে উঠে পথকুকুরদের জন্য রান্না করেন শ্যামলী মন্ডল, অপরদিকে পথকুকুরদের ডেকে নিয়ে এসে খেতে দেন গৌতম মন্ডল।
আপনার পকেটে কি এই ১০ টাকার কয়েন রয়েছে? আসল না জাল? কী ভাবে চিনবেন? বলে দিল RBI
মানুষের যাতে অসুবিধা না হয় এবং পথ কুকুরদের যাতে মানুষের রোশানলে পড়তে না হয় সেই কারণে নিজের বাড়িতেই কুকুরদের জায়গা করে দিয়েছেন গৌতম মন্ডল। অফিস থেকে বাড়ি ফেরার পথে হোক কিংবা বাজার করতে যাওয়ার সময়। বাঁকুড়ার সতীঘাট থেকে ফাঁসিডাঙ্গা পর্যন্ত প্রতিটা পথ কুকুর চেনে গৌতম বাবুকে। তাঁকে দেখলেই খুশিতে লেজ নাড়ায় তারা।
গৌতম যে শুধু খেতে দেন তা নয়! সেবা শুশ্রূষার দায়িত্ব নিয়েছেন তিনি। বাড়িতেই রয়েছে পথকুকুরদের জন্য ওষুধ রাখার একটি ক্যাবিনেট। তাতে চামড়ার রোগ থেকে শুরু করে ছোটখাটো কাটা ছেঁড়া এবং গ্যাসের ওষুধ, সবই মজুত থাকে। প্রচারের বিমুখে থেকে দীর্ঘদিন ধরেই কাজ করে আসছেন তিনি।
বাড়ির ছাদে রয়েছে নিজের প্রিয় চার পোষ্য কুকুরের সমাধি। তবে কুকুরের প্রতি ভালবাসা পোষ্য কুকুর পর্যন্ত সীমাবদ্ধ থাকেনি। বাড়ির ছাদের ঘুমিয়ে থাকা চারটি অবলার স্মৃতিগুলিকে পাথেয় করে রাস্তায় লাঞ্ছিত এবং অত্যাচারিত হতে থাকা ডায়না, লালু, ভোলা এবং বেবিদের দায়িত্ব নিয়েছেন গৌতম মন্ডল এবং শ্যামলী মন্ডল।
নীলাঞ্জন ব্যানার্জী