প্রাথমিক তদন্তে বন দফতরের অনুমান, কৌতূহলবশত হাতি দেখতে গিয়েই এই দুর্ঘটনা ঘটে। ওই সময় এলাকায় দলছুট হাতির গতিবিধি ছিল বলে জানা যায়। রাতের অন্ধকারে হাতির খুব কাছে চলে যাওয়ায় আচমকা আক্রমণের শিকার হন রামপদ। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয় বলে বন দফতর সূত্রে খবর। ঘটনার পর স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে বনকর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছান এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন।
advertisement
আরও পড়ুনঃ ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনা শালবনিতে! বাস উলটে নয়ানজুলিতে, আহত বহু যাত্রী
বন দফতরের পক্ষ থেকে এলাকায় নজরদারি আরও বাড়ানো হয়েছে। স্থানীয় মানুষদের রাতের বেলা অপ্রয়োজনীয়ভাবে জঙ্গলের ধারে না যাওয়ার জন্য সতর্ক করা হয়েছে। একই সঙ্গে হাতির গতিবিধি সম্পর্কে মাইকিং করে প্রচার চালানো হচ্ছে। মৃতের পরিবারকে সরকারি ক্ষতিপূরণ দেওয়ার প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে বলে বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে।
উল্লেখযোগ্য, সম্প্রতি জঙ্গলমহল জুড়ে একের পর এক হাতির হানার ঘটনায় উদ্বেগ বাড়ছে। সোমবার সন্ধ্যায় পশ্চিম মেদিনীপুরের গোয়ালতোড় থানার বাঘাখুলিয়া গ্রামে দলছুট হাতির আক্রমণে মৃত্যু হয় মোহন সরেন নামে এক ব্যক্তির।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
আবার মঙ্গলবার সকালে ঝাড়গ্রাম জেলার কুলটিকরি এলাকায় হাতির হানায় প্রাণ যায় ৬৯ বছরের বৃদ্ধা জয়া আড়ির। একের পর এক মৃত্যুর ঘটনায় মানুষের মধ্যে আতঙ্ক যেমন বাড়ছে, তেমনই বন ও মানব বসতির সংঘাত নতুন করে ভাবাচ্ছে প্রশাসনকে। বন দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, এই সংঘাত কমাতে এলাকায় অতিরিক্ত সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়ার পরিকল্পনা চলছে।






