দীর্ঘদিন ধরে অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছিলেন বাঁকুড়ার এক নম্বর ব্লকের কুমিদ্যা গ্রামের বাসিন্দা বৈদ্যনাথ দাস মোদক ও তাঁর পরিবার। বৈদ্যনাথবাবু ছিলেন পেশায় একজন মিষ্টির দোকানের কর্মী। তবে বেশ কিছুদিন হল বার্ধক্যের কারণে আর কাজ করতে পারছিলেন না। তাঁর ছেলে একজন পরিযায়ী শ্রমিক। ফলে তাঁর পক্ষেও অসম্ভব হয়ে উঠেছিল বাবা-মাকে দেখে নিজের সংসার চালানো।
advertisement
আরও পড়ুনঃ রাই*ফেল শুটিং শিখতে আর ছুটতে হবে না দূরদূরান্তে! এবার হাতের কাছেই প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, দেখে নিন কোথায়
এদিকে রেশন কার্ডের সঙ্গে আধার কার্ডের লিংক না থাকার কারণে দীর্ঘদিন ধরে মিলছিল না রেশনের চাল, আটা। একপ্রকার অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছিল পরিবারটি। কখনও কখনও গ্রামের মানুষ বা ক্লাবের ছেলেরা দু’মুঠো খেতে দিলেও, পেট ভর্তি খাবার মিলত না। প্রায়দিনই অর্ধাহারে দিন কাটাতে হত পরিবারটিকে। এমনটাই অভিযোগ মৃত বৈদ্যনাথের স্ত্রীর। তাঁর অভিযোগ, গত শুক্রবার দীর্ঘদিন ধরে অর্ধাহারে থাকার কারণেই মৃত্যু হয়েছে বছর ৬৫ বৈদ্যনাথ বাবুর।
আরও পড়ুনঃ প্রয়াত বাবার জন্য ৫২ কিমি দন্ডি…! বাঁকুড়ার যুবকের শিবের মাথায় জল ঢালার সংকল্প অবাক করছে সকলে
নিউজ ১৮ বাংলার এই খবর সম্প্রচার হওয়ার পরেই নড়েচড়ে বসেছে ব্লক প্রশাসন থেকে পঞ্চায়েতে ও পঞ্চায়েত সমিতি। পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হল বির্পযয় মোকাবিলা দফতরের জামা, কাপড়, ত্রিপল-সহ বিভিন্ন ত্রান সামগ্রী। চালু করে দেওয়া হল ওই পরিবারের সদস্যদের রেশন কার্ড। পরিবারের পাশে সবরকম ভাবে থাকার আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন।