কোনও পারিশ্রমিক ছাড়াই ২০০৯ সালে শুরু হয় ভারতী মুদির ফুটবল প্রশিক্ষণ শিবির। বর্তমানে ধারাবাহিকতার সঙ্গে ২৫ জন আদিবাসী মেয়ে প্রশিক্ষণ নিচ্ছে তাঁর কাছে। খেলার সরঞ্জাম যেমন ফুটবল, ফুটবল খেলার বুট এবং অন্যান্য উপকরণ কিনে থাকেন ভারতী মুদি নিজে। ঘাম ঝরালেই আসে সফলতা। ভারতী দেবীর এই প্রশিক্ষণ শিবিরের মেয়েরা রাজ্যস্তর থেকে শুরু করে জাতীয়স্তর সব জায়গাতেই অংশগ্রহণ করেছেন। ভারতী দেবী জানান যে থানা স্তর থেকে জেলা, রাজ্যস্তর ছাড়িয়েও জাতীয় স্তরেও মেয়েরা খেলেছে। গোয়া, চণ্ডীগড়, ভূপালে খেলেছে তাঁর কোচিংয়ের মেয়েরা। এবার তাঁদের লক্ষ্য আন্তর্জাতিক স্তরে যাওয়া।
advertisement
হাজার প্রতিকূলতা ছিল আগে। এখনও রয়েছে সরঞ্জামের এবং অর্থের অভাব। তবে অভাব নেই উদ্যমতার। মাঠ ছাড়েনি বাঁকুড়ার এই আদিবাসী মেয়েগুলি। পাশে থেকেছেন ভারতী দেবী। মাড় ভাত অর্থাৎ ফেনা ভাত খেয়েই মাঠে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে মেয়েরা। ভারতী মুদি জানান, যত দিন মেয়েরা চাইবে ফুটবল খেলতে, ততদিন পাশে থাকবেন তিনি।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
কিছুটা হলেও ব্যয় সাপেক্ষ খেলা ফুটবল। আদিবাসী প্রান্তিক মেয়েদের জন্য স্বপ্নের মতোই যেন ‘সব খেলার সেরা বাঙালির তুমি ফুটবল’। কিন্তু মেয়েদের ফুটবল প্রশিক্ষণ শিবির তৈরি করে সেই স্বপ্নকেই সত্যি করে দেখালেন ভারতী মুদি। বাঁকুড়ার বুকে এক জ্বলন্ত দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন তিনি।





