Marigold Cultivation: রুক্ষ্ম জমিতে ধান, সব্জিতে হচ্ছিল না লাভ! এরই মাঝে নতুন চাষের আইডিয়া, ৩৬০ ডিগ্রি মোড় ঝাড়গ্রামের চাষিদের জীবনে
- Reported by:Ranjan Chanda
- hyperlocal
- Published by:Madhab Das
Last Updated:
Jhargram Marigold Cultivation: এমনিতেই শীতের এই সময়ে জঙ্গলমহল ঝাড়গ্রামের আবহাওয়া বেশ শীতের হাওয়া বইতেই সিঁদুরগৌরার রুখা জমি জুড়ে আবারও ফুটতে শুরু করেছে গাঁদার হলুদ-কমলা হাসি।
জঙ্গলমহলের রুক্ষ মাটি। এই মাটিতেই ফলত ধান কিংবা বিভিন্ন ধরনের সবজি। মোরাম মাটিতে বছরে সামান্য কিছু চাষ ছিল আয় রোজগারের উৎস। তবে জঙ্গলমহলের সেই রুক্ষ মাটিতে এবার নতুন কর্মসংস্থানের জোর। একদিকে যেমন এই চাষ করে উপার্জন হচ্ছে, তেমনই এলাকার বহু শ্রমিকের কর্মসংস্থান হয়েছে। কৃষি কাজে নতুন দিগন্ত দেখাচ্ছে জঙ্গলমহল ঝাড়গ্রাম। (ছবি ও তথ্য: রঞ্জন চন্দ)
advertisement
শীতের মরশুমে গাঁদা ফুলের চাহিদা বেশ। বাজারে বিক্রি হচ্ছে প্রায় ৩০০ টাকা কেজি। তবে এই শীতে জঙ্গলমহল ঝাড়গ্রামের রুক্ষ মাটিতে গাঁদা চাষ করে নতুন আয়ের দিশা দেখিয়েছেন বেশ কয়েকজন কৃষক। কর্মসংস্থানের হয়েছে বহু মানুষের। শুধু তাই নয় বেশ কয়েক একর জায়গা জুড়ে লাগান এই গাঁদা ফুল যাচ্ছে ভিন রাজ্যে। ঝাড়গ্রামের সাঁকরাইলের সিঁদুরগৌরার রুখা জমিতে এখন নতুন আশার আলো।
advertisement
advertisement
এই মরশুমের কাজের অপেক্ষায় থাকেন এলাকার বহু খেটে-খাওয়া মানুষ। কারণ, রুখা জমিতে বাইরের জেলা থেকে আসা ফুল চাষিদের উদ্যোগে যখন কয়েক একর জুড়ে গাঁদা ফুলের বাগান গড়ে ওঠে, তখনই স্থানীয়দের জন্য খুলে যায় অস্থায়ী কর্মসংস্থানের বড় সুযোগ। এলাকার শ্রমিক জন্মেঞ্জয় বেরা বলেন, মাটি ঠিকঠাক করা, এমনকি ফুল তোলার জন্য লোক নিয়োগ করা হয়। প্রতিদিন বেতন ২৫০ টাকা। স্বাভাবিকভাবে কাজ পাওয়া যায় শীতের এই সময়ে।
advertisement
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সিঁদুরগৌরার মাটি ও আবহাওয়া গাঁদা ফুল চাষের জন্য অত্যন্ত উপযোগী। এই কারণে প্রতিবছরই বাইরের জেলা থেকে চাষিরা এসে অস্থায়ীভাবে জমি নিয়ে ফুল চাষ করেন। তাঁরা জানান, এ বছরের চাষেও ফলন ভাল হবে বলে আশা করছেন। ফুল চাষিরা জানিয়েছেন, “এই জমিতে গাঁদার ফলন খুবই ভাল হয়। আমরা যেমন লাভবান হচ্ছি, তেমনি এখানকার বহু মানুষও রোজগারের সুযোগ পাচ্ছেন।”
advertisement









