রেলসূত্রে জানা গিয়েছে, এ বছরের মধ্যেই হাওড়া-বর্ধমান কর্ড লাইনের সঙ্গে মিশছে বাঁকুড়া-মশাগ্রাম লাইন। বর্তমানে বাঁকুড়া থেকে মশাগ্রাম পর্যন্ত ট্রেন চলাচল করে। দক্ষিণ-পূর্ব রেলের অধীনে রয়েছে এই রুট। যাত্রীদের মসাগ্রামে নেমে প্ল্যাটফর্ম বদল করে হাওড়ার ট্রেন ধরতে হয়। সম্প্রতি পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার অরুণ অরোরা দক্ষিণ-পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার অর্চনা জোশীকে এ নিয়ে চিঠি লিখেছেন। সেখানেই বাঁকুড়া- মসাগ্রাম সেকশনকে হাওড়া কর্ডের সঙ্গে সংযুক্তির কথা লিখেছেন। এর ফলে বাঁকুড়া জেলার পাশাপাশি পূর্ব বর্ধমানের খণ্ডঘোষ রায়না-সহ দক্ষিণ দামোদর এলাকার বাসিন্দারা খুবই উপকৃত হবেন।
advertisement
রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, এই লাইন সংযুক্তির জন্য প্রয়োজনীয় সমীক্ষা ও আনুষঙ্গিক কাজ ইতিমধ্যেই হয়ে গিয়েছে। ৩৮ কোটি ১০ লক্ষ টাকা খরচ করে দশ মাসের মধ্যে নয়া লাইন পাতার কাজ শেষ করা লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। এর ফলে কয়েক লক্ষ যাত্রী উপকৃত হবেন। মশাগ্রাম-বাঁকুড়া রেলপথের সঙ্গে হাওড়া কর্ড লাইনকে জুড়ে দেওয়ার দাবি দীর্ঘদিনের। বাঁকুড়া ও বিষ্ণুপুর ও পূর্ব বর্ধমানের অসংখ্য মানুষের এতে উপকার হবে।
আরও পড়ুন : ১ কেজি পেঁয়াজ ৮-৯ টাকা! কোথায় এই জলের দর, জেনে নিন
দক্ষিণ-পূর্ব রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, এই প্রকল্পের জন্য নির্ধারিত বরাদ্দ পূর্ব রেলের তহবিলে স্থানান্তর করতে ইতিমধ্যেই রেল বোর্ডের কাছে চিঠি দেওয়া হয়েছে। বেশ কিছু পদ্ধতি মেনে এই প্রকল্পের পুরো অর্থই পূর্ব রেলের অ্যাকাউন্টে চলে যাওয়ার সবুজ সংকেত মিলেছে। প্রস্তাবিত নয়া লাইনটি চালু হলে যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্য অনেকগুণ বেড়ে যাবে। যাত্রীদের দীর্ঘদিনের দাবি পূরণে দক্ষিণ-পূর্ব রেল যাবতীয় পদক্ষেপ নিয়েছে।
পূর্ব রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, গতি শক্তি প্রকল্পের মাধ্যমে গোটা দেশের একাধিক ডিভিশনকে যাত্রী ও পণ্য পরিবহণে বাড়তি গতি দিতে পরিকাঠামোগত উন্নয়ন করা হবে। হাওড়া ডিভিশনকে এই প্রকল্পের আওতায় রাখা হয়েছে। এর ফলে কর্ড লাইনের গতি ও বিস্তার আরও কয়েকগুণ বাড়ানো হবে। সেই লক্ষ্যেই মশাগ্রাম-বাঁকুড়া লাইনকে হাওড়া-বর্ধমান কর্ড লাইনের সঙ্গে যুক্ত করার কাজ হাতে নিতে চলেছে পূর্ব রেল।