বিগত কয়েক বছরের মতো এ বছরও হাজামডিহি গিরিধারী ক্লাবের কালীপুজোয় থাকছে থিমের বিশেষ চমক। এ বছরের থিমের নাম ‘নৌকা ডুবি’, যা তুলে ধরবে প্রকৃতির রুদ্ররূপে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের দুর্ভোগের কাহিনী। থিম শিল্পী অপরূপ গোস্বামীর ভাবনায় গড়ে উঠবে এই অনন্য মণ্ডপ। ক্লাব কর্তারা জানিয়েছেন, চলতি বছরে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ঘনঘন বৃষ্টি ও বন্যা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই থিম নির্ধারণ করা হয়েছে। দর্শনার্থীদের চোখে পড়বে বৃষ্টি-বন্যায় বিপর্যস্ত জীবনের নানা দৃশ্য, মণ্ডপের প্রতিটি কোণে থাকবে ‘নৌকা ডুবি’র শিল্পিত ছোঁয়া।
advertisement
বাঁকুড়ার গিরিধারী ক্লাবের সদস্যরা জানিয়েছেন, “আমাদের পুজো শুধু সাজসজ্জার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। কালীপুজোর মূল উদ্দেশ্য হল মানবসেবার বার্তা পৌঁছে দেওয়া।” প্রতি বছরের মতো এ বছরও আয়োজিত হবে দুঃস্থদের মধ্যে কম্বল বিতরণ, নরনারায়ণ সেবা এবং সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা। এছাড়াও দর্শকদের মনোরঞ্জনের জন্য থাকছে কলকাতার আকাশবাণী যাত্রা সংস্থা বাবলি ভট্টাচার্য রচিত, অভিনীত ও পরিচালিত জনপ্রিয় যাত্রাপালা ‘মাননীয় হেডমাস্টার মশাই’।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
উদ্যোক্তাদের বিশ্বাস, “যেভাবে গ্রামবাসীরা একজোট হয়ে পুজো সফল করেন, তা আমাদের শক্তি।”গ্রামাঞ্চলের এই কালীপুজো এখন আশেপাশের অঞ্চলের মানুষের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। কালীপুজোর দিন যেমন ভক্তদের আনাগোনা থাকে, তেমনই পরের দিন হাজামডিহিতে ঢল নামে দর্শনার্থীদের। ক্লাব কর্তারা আত্মবিশ্বাসী যে, “আমাদের পুজো শুধুমাত্র সাজসজ্জা নয়, এটি আমাদের গ্রামের ঐক্যের প্রতীক। ‘নৌকা ডুবি’ থিমের মাধ্যমে আমরা বলতে চাই, যতই ঝড়-বৃষ্টি আসুক, একতার নৌকা কখনও ডোবে না।”হাজামডিহির ‘নৌকা ডুবি’…. যেখানে শিল্প, সমাজ আর মানবতার গল্প একসাথে ভাসবে আলো-আবেগের তরঙ্গে।