দীর্ঘ ২৪ বছর এলাকার কৃষি পরিবারের থেকে চাঁদা তুলে এই দুর্গাপুজো চালিয়ে আসলেও ২৫ তম বর্ষে অর্থাৎ এবছর অর্থের অভাবে আর এই দুর্গাপুজো করা সম্ভব হচ্ছিল না ক্লাব কর্তৃপক্ষের। কারণ একদিকে প্রাকৃতিক বিপর্যয় অন্যদিকে দামোদর নদীর তীরবর্তী অবস্থিত এই গ্রাম হওয়ায় ডিভিসির ছাড়া জলে এলাকার কৃষিকাজে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই অর্থের অভাবে এবছর আর দুর্গা আরাধনা হচ্ছিল না এই গ্রামে।
advertisement
আরও পড়ুন: রাজ্যে চালু হল নতুন কার্ড! বিনামূল্যে ওষুধ থেকে মিলবে বড় ছাড়, জানুন কারা পাবেন ‘এই’ সুবিধা
ঠিক তখনই বাঁকুড়ার ওই গ্রামে দেবী দশভুজা রূপে এলাকার ৫০ জন মহিলা এগিয়ে আসেন গ্রামের দুর্গাপুজো যাতে বন্ধ না হয় তার জন্য। তারা ক্লাব কর্তৃপক্ষকে আশ্বস্ত করেন পশ্চিমবঙ্গ সরকার প্রতি মাসে তাদের যে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা দিচ্ছে, সেখান থেকেই তারা প্রত্যেকেই এক মাসের লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা ক্লাব কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেবেন।
ক্লাব কর্তৃপক্ষের মাথায় নেমে আসা গভীর অন্ধকার যেন দশভূজা রূপে এলাকার ৫০ জন মহিলা ক্ষণিকের মধ্যে সাতরঙা রামধনুর মত রঙ্গিন করে তোলেন। আশার আলো দেখে ক্লাব কর্তৃপক্ষ। পুনরায় শুরু হয় প্যান্ডেল বাঁধার কাজ। শুরু হয় মায়ের মূর্তি গড়ার কাজ। আবারও বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজোয় আনন্দ উৎসবে হইহুল্লোড় এবং আলোর রশ্মিতে আলোকিত হয়ে উঠবেন প্রত্যন্ত এই গ্রাম ঘোড়াডাঙ্গা। এলাকার এই ৫০ জন মহিলাকে দেবী রূপের সম্মান জানায় ক্লাব কর্তৃপক্ষ।