ক্লাস নেন, সহশিক্ষকদের পরামর্শ দেন, ছাত্রছাত্রীদের মন জয় করেন নিজের আন্তরিকতায়। ১৯৭৯ সালে গড় রাইপুর হাইস্কুলের প্রাক্তন ছাত্র। পরে শিক্ষক হিসাবে যোগ দিয়েছিলেন ফটিক চন্দ্র খাঁ। দীর্ঘ চাকরি জীবনের পরেও শিক্ষকতার প্রতি টানই তাঁকে আজও বিদ্যালয়ে টেনে আনে।
আরও পড়ুন : ঘাড় উঁচিয়ে দেখতে হবে! ৩১ ফুটের বিশাল বিশ্বকর্মা! কোথায় হয়েছে ‘এত্তবড়’ আয়োজন?
advertisement
তাঁর হাতে চক ডাস্টার উঠলেই ক্লাসরুমে বেজে ওঠে ছাত্রছাত্রীদের স্বাগত জানায় তাঁকে। পলাশির যুদ্ধ হোক কিংবা সিপাই বিদ্রোহ, ইতিহাস যেন জীবন্ত হয়ে ওঠে তাঁর পাঠন ভঙ্গিমায়। পড়ুয়া ও সহশিক্ষকদের আন্তরিকতার টানেই প্রতিদিন নিয়ম করে স্কুলে আসা। পারিশ্রমিকের প্রয়োজন নেই, আশাও করি না, যতদিন শরীর সুস্থ থাকবে, ততদিন নিয়মিত স্কুলে আসব, অকপট দাবি অবসরকালীন শিক্ষক ফটিক বাবুর।
আরও পড়ুন : কী বৃষ্টিই না হল! মাত্র দু’ঘন্টার ঝোড়ো বর্ষণে হাঁটু জলে ‘তলিয়ে’ গেল শিলিগুড়ি
শিক্ষক দিবসে গড় রাইপুর হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক সহশিক্ষক সহ ছাত্রছাত্রী সকলেই তাঁকে স্যালুট জানাচ্ছে। তাদের প্রিয় ফটিক বাবুকে শুধু শিক্ষক নয়, তিনি হয়ে উঠেছেন এক অনুপ্রেরণা। যাঁর কাছে শিক্ষা মানেই ভালবাসা। আর ভালবাসাই জীবনের সবচেয়ে বড় পুরস্কার।