মূলত তবলা, ঢাক এবং খোল করতাল বাজায় এই বালক। ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনার কবলে শুভমের একটি হাত ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যায়। বন্ধ হয়ে যায় শখের বাদ্যযন্ত্র বাজানো। মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েন শুভম এবং তার মা মিতালী দাস মোদক। ২০২২ সালের দুর্গাপুজোর অষ্টমীর দিন আতশবাজি ফেটে যায় শুভমের হাতে। তারপর থেকেই শুরু হয় সংগ্রাম।
advertisement
আরও পড়ুন: রেলে নিয়োগে বড় ঘোষণা! বয়স সীমায় আসছে বদল, বিস্তারিত জেনে তবেই আবেদন করুন
শুভম দাস মোদকের মা মিতালী দাস মোদক জানান, “আমার ছেলে আগে থেকেই ঢাক বাজাত। ২০২২ সালে অষ্টমীর দিন ঘটনাটা ঘটে যাওয়ার পর আমরা কেউ ভাবিনি যে আমার ছেলে ফের স্বাভাবিক জীবনে ফিরতেপারবে। মায়ের ইচ্ছাতেই এটা সম্ভব হয়েছে। শুভম মায়েরই ছেলে।”
প্রতিদিন সন্ধ্যা ছ’টায় বাঁকুড়া শহরের রামপুর দুর্গা মন্দিরে দেখতে পাবেন শুভম দাস মোদককে মা দুর্গার আরতিতে ঢাক বাজাতে। এক দিন দু’দিন নয়, এই অভ্যাস প্রতিদিনের। শুভম জানায়, “মন্দিরের কাজ করতে আমার ভালো লাগে সেই কারণেই করি। শুধু ঢাক বাজাই সেটাই নয়, পুজোর জোগাড় থেকে বাসন পরিষ্কার করা সব।”
নীলাঞ্জন ব্যানার্জী