বাঁকুড়ার পাত্রসায়েরের বাসিন্দা অনন্ত দে, ৬-৭ বছর বয়সে খেলার ছলে আর্টের কাজ বানাতেন। সেই থেকেই তিনি এখনও পর্যন্ত নিত্য নতুন হাতের কাজ বানিয়ে চলেছেন। তিনি একজন পেশায় ইলেকট্রিক মিস্ত্রি, বাড়িতেই তার দোকান, তিনি দোকানের কাজের ফাঁকে বিভিন্ন রকমের আর্টের কাজ বানান। অনন্ত দে পেন্সিল খোদাই করে বানিয়েছেন বিভিন্ন রকমের মূর্তি বা পুতুল, বোর্ডে লেখার চক খোদাই করেও তিনি বানিয়েছেন বিভিন্ন রকমের মূর্তি ও পুতুল, এছাড়াও আপনি শুনলে অবাক হবেন চাল এবং ডালের উপরেও বিভিন্ন রকমের কারুকার্য ফুটিয়ে তুলেছেন এই ইলেকট্রিক মিস্ত্রি অনন্ত দে।
advertisement
আরও পড়ুন: যুদ্ধ নয়, শান্তি…! দন্ডি কেটে ৩৫ কিলোমিটার! সকলকে অবাক করলেন বাঁকুড়ার ‘শান্তির দূত’
অনন্ত বাবু বলেন, তার নিজস্ব একটি ঘরানা রয়েছে, টোন চিপস দিয়ে বিভিন্ন রকমের কোলাজ তিনি বানিয়েছেন। পোড়া বালিকে দিয়েও তিনি বিভিন্ন রকমের ড্রয়িং বানিয়েছেন। তিনি বিভিন্ন রকমের মাটির মডেল বানিয়েছেন। এক প্রকার শুনেই বোঝা যায় যে অনন্ত বাবু ফেলে দেওয়া জিনিসকে সংগ্রহ করেই তিনি নিত্যনতুন আর্ট বানাচ্ছে। তবে শুনলে অবাক হবেন তার কাজ কিন্তু কোনও প্রকার ভাবে বিক্রি হয় না। তিনি শুধুমাত্র শখে বানান।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এই ইলেকট্রিক মিস্ত্রির হাতের কাজে তাক লাগিয়েছেন এলাকার মানুষকে। তিনি ফেলে দেওয়া জিনিসকেও কাজে লাগিয়ে যেভাবে কারুকার্য ফুটিয়ে তুলেছেন তাতে মুগ্ধ এলাকার মানুষ। বর্তমানে বাঁকুড়ার অনন্ত বাবুর কাছে এলাকার বহু ছেলেমেয়েরা এই আর্টের কাজ শিখতে আসছেন। অনন্ত বাবু ইলেকট্রিক কাজের পরে আর্টের কাজে ব্যস্ত থাকেন সারাক্ষণ এবং তার মাঝেও এলাকার কিছু ছেলেমেয়েদের কেউ শিক্ষা দিচ্ছেন।
অনিকেত বাউরী