ভড়া গোয়ালাপাড়ায় প্রায় ১৫০ পরিবার বসবাস করে। পাড়ায় অন্যান্য পুজো হলেও দুর্গাপুজো করার মতো আর্থিক পরিস্থিতি নেই। বেশ কয়েকবার দুর্গাপুজো করার জন্য উদ্যোগ নেওয়া হলেও অর্থের অভাবে সিদ্ধান্ত বাতিল হয়। বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো এই দুর্গাপুজো দেখতে বাড়ির ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা, বড়রা সকলেই অন্য গ্রামে যায় ঠাকুর দেখতে। গ্রামের দশভূজা মহিলাদের এই দৃশ্য দেখে কষ্ট হয়। তারপর গত বছর গ্রামের সকল গৃহবধূরা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন এবং তাদের সিদ্ধান্ত হয় প্রতিমাসে তারা লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা পায়। প্রত্যেকে একমাসের টাকা দুর্গাপুজোর জন্য তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলে কেমন হয়।
advertisement
আরও পড়ুন: চতুর্থীর সকালেই পয়সা উসুল! উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি থেকেই যা দেখলেন পর্যটকরা, মন ভাল করা ছবি
তাতে বাঁকুড়ার ওই গ্রামের ৮০ জন মহিলা এগিয়ে আসেন। তাঁরা সক্রিয়ভাবে পুজো পরিচালনায় অংশ নেন। প্রথম বছরেই দারুণ সাড়া পড়ে। তাই এবার পাড়ার দুর্গাপুজোর আগে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের এক মাসের টাকা পাওয়া প্রায় সমস্ত মহিলাই অতি উৎসাহিত হয়ে এগিয়ে এসেছেন। এবার আরও বড় করে পুজোর অনুষ্ঠান শুরু হয়। প্রথম স্বাভাবিক একটি প্যান্ডেল করে পুজো করলেও এবার তাদের থিম ভাবনা কাল্পনিক মন্দির।
আরও পড়ুন: মদের বোতলে ভরা ছিল ওটা কী! পান করতেই শরীরে অসহ্য জ্বালা, যন্ত্রণা! ছটফট করে প্রাণ গেল ২ বেয়াইয়ের
পাশাপাশি এবারের পুজোয় যাত্রানুষ্ঠান থেকে শুরু করে সাংস্কৃতিক নানা অনুষ্ঠান হবে। মণ্ডপের সামনে সেলফি জোন থাকবে। একদিন বস্ত্র ও প্রসাদ বিলি করা হবে। এছাড়াও উদ্বোধনের দিন বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা হবে। রাজ্য সরকারের পুজো অনুদানের জন্য আবেদন করা হয়েছে। তা পেলে পুজোয় আরও সামাজিক কর্মসূচি করা যাবে।
গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গোয়ালাপাড়ার এই মহিলারা দশভূজার আরেক রূপ নিয়ে তারা দুর্গাপুজোর শুরু করেছে। তাদের এই উদ্যোগকে কুর্নিশ জানিয়েছে সকলেই।