বাঁকুড়ার বড়জোড়া ব্লকের খাড়ারী অঞ্চলের জঙ্গল লাগোয়া বনশোল, কালপাইনী , ডাকাইসিনী, মালকুড়িয়া, শ্যামপুর, এনায়েতপুর, হরিশপুর এই সাতটি গ্রামে একেবারে বিনামূল্যে মানুষ গড়ার লক্ষ্যে শিক্ষাদান করে চলেছেন শিক্ষক প্রভাত কুম্ভকার। তিনি প্রায় আট থেকে নয় বছর ধরে এই প্রত্যন্ত গ্রামের ছেলেমেয়েদের স্বামী বিবেকানন্দের ভাবাদর্শে শিক্ষাদান করে চলেছেন বিনা স্বার্থে। এখন বেশ কিছু অভিভাবক এই শিক্ষকের কাছে নতুন করে পড়াশোনা শিখছেন।
advertisement
আরও পড়ুন : মোবাইলের নে*শা ভুলে এবার ‘মোবাইল’ স্কুলে! পড়াশোনায় ফের মন বসাতে অভিনব উদ্যোগ শিক্ষকের
বিকেল হলেই নিজের সাইকেল নিয়ে জঙ্গলের রাস্তায় বেরিয়ে পড়েন গ্রামের ছেলেমেয়েদের শিক্ষাদানের উদ্দেশ্যে। তিনি প্রথমে দুই একটি গ্রামে মানুষ গড়ার লক্ষ্যে ছোট ছোট পড়ুয়াদের বিনা পয়সায় শিক্ষাদান করা শুরু করেছিলেন। এখন মোট সাতটি গ্রামের প্রায় ২০০ থেকে ২৫০ জনকে শিক্ষাদান করছেন।
আরও পড়ুন : শিউরে উঠবেন! বিশেষভাবে সক্ষম পড়ুয়ারা যা করছে, আপনার কল্পনাকেও হার মানাবে
বাঁকুড়ার বড়জোড়া ব্লকের ফুলবেড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা প্রভাত কুম্ভকার। তিনি বেলিয়াতোড় যামিনী রায় কলেজে বাংলা বিষয়ে অধ্যাপনা করেন। তিনি কলেজের পাশাপাশি প্রান্তিক পিছিয়ে পড়া সুবিধা বঞ্চিত জঙ্গলের অভাবী পরিবারের পড়ুয়াদের যেভাবে মানুষ গড়ার লক্ষ্যে শিক্ষাদান করছেন, তাতে এই গ্রামের মানুষজন প্রভাত কুম্ভকারকে দেবতার আসনে বসিয়েছেন।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
প্রভাত বাবু বিকাল হলেই সাইকেল নিয়ে বেরিয়ে পড়েন এবং রাত্রি দশটা পর্যন্ত ছেলেমেয়েদেরকে পড়াশোনা করিয়ে রাতের অন্ধকারে জঙ্গলের রাস্তা দিয়েই বাড়ি ফিরেন। প্রভাত বাবুর এই মহান কাজকে কুর্নিশ জানাচ্ছেন এলাকার মানুষ।